তমকুর,30 জানুয়ারি: মাহিন্দ্রা গাড়ির শোরুমে কৃষককে অপমানের ঘটনায় টুইট আনন্দ মাহিন্দ্রার। শুক্রবার টুইট করে ওই কৃষকের কাছে ক্ষমা চান মাহিন্দ্রা কোম্পানির চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা(Mahindra company Chairman appologised in Twitter)। তিনি জানান, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা কোম্পানি পিকআপ গাড়িটি কেম্পেগৌড়ার কাছে পৌঁছে গিয়েছে । সেইসঙ্গে ওই কৃষককে ধন্যবাদ জানান তিনি । এই টুইটে মাহিন্দ্রা অটোমেটিভের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘‘২১ জানুয়ারি মাহিন্দ্রা ডিলারশিপের শোরুমে কেম্পেগৌড়া ও তাঁর বন্ধুদের গাড়ি পরিদর্শনের সময় অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রর্থী । আমরা এর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব। আশা করি কেম্পেগৌড়ার সমস্যার সমাধান হয়েছে । কেম্পেগৌড়া আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য এবং আমরা তাঁকে মাহিন্দ্রা পরিবারে স্বাগত জানাই (Anand Mahindra welcomes Kempegowda to ‘M&M Family)।"
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কর্নাটকের রামনপালিয়ার এক কৃষক কেম্পেগৌড়া মাহিন্দ্রার শোরুমে একটি বোলেরো পিক-আপ গাড়ি কিনতে গিয়েছিলেন । সেইসময়ে তাঁকে এবং তাঁর বন্ধুদের শোরুমের সেলসম্যান পরিহাস করেছিলেন বলে অভিযোগ তাঁর । থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই কৃষক । সমস্ত বিষয়টি নেট মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তারপরেই ক্ষমা চেয়ে টুইট করেন মাহিন্দ্রা কোম্পানির চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা ।
এই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে কেম্পেগৌড়া বলেন, "শোরুমের স্টাফ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্ষমা চেয়েছেন। কেউ ক্ষমা চাইলে ক্ষমা করাটা একজনের কর্তব্য ৷" তিনি আরও বলেন, ‘‘কর্মীরা নিজেরাই আমার বাড়িতে গিয়ে গাড়িটি পৌঁছে দেন। আমার উদ্দেশ্য ছিল এটা যেন আমার মত কারওর সঙ্গে না হয়। গাড়িটির দাম 9.40 লাখ এবং এতে কোনও ছাড় নেই। তারাও কোনও ধরনের ছাড় দেয়নি এবং আমিও চাইনি। এখন গাড়িটি পেয়ে খুশি ৷"
আরও পড়ুন: আনন্দ মাহিন্দ্রার থেকে ট্রাক্টর উপহার পেলেন লাউঙ্গি
উল্লেখ্য, ঘটনাটি ঘটে 21 জানুয়ারি ৷ কেম্পেগৌড়া একটি পণ্যবাহী গাড়ি কিনতে তুমকুরের একটি মাহিন্দ্রা ডিলারের শোরুমে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখানেই শোরুমের একজন বিক্রয়কর্মী কেম্পেগৌড়াকে বিদ্রুপ করে বলেন, যে কৃষকের পকেটে 10 টাকাও নেই, তিনি কীভাবে 10 লাখ টাকার গাড়ি কিনবেন । কেম্পেগৌড়া এক ঘণ্টার মধ্যে অর্থের ব্যবস্থা করেছিলেন এবং একই দিনে ডেলিভারি দাবি করেছিলেন । তার সেই ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অপমানিত বোধ করায় সেদিন গাড়িটি না নিয়েই ফিরে এসেছিলেন । শোরুমের কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে শোরুমের কর্মীরা স্থানীয় থানায় তাঁদের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন ।
এই ঘটনার পরেই সংস্থার ভাবমূর্তি বজায় রাখতে আসরে নামেন মাহিন্দ্রা কোম্পানির চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা । টুইটে কর্মীদের ক্ষমা প্রার্থনার কথা উল্লেখ করেন ।