পঞ্জাব, 29 মার্চ: আত্মসমর্পণ করতে পারেন পলাতক খালিস্তানপন্থী প্রচারক অমৃতপাল সিং (Amritpal Can Surrender)৷ শীর্ষ শিখ ধর্মীয় সংগঠন শ্রী অকাল তখত সাহেবের জথেদার অর্থাৎ প্রধান গিয়ানি হরপ্রীত সিংয়ের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারেন বলে খবর (Amritpal Singh)।
ভাটিন্ডা পুলিশ তালওয়ান্দি সাবোর দিক থেকে আসা সমস্ত রাস্তা আটকে করে রেখেছে এবং প্রতিটি যানবাহন চেক করা হচ্ছে । শ্রী দরবার সাহেবের দিকে যাওয়ার রাস্তায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে । ডিসিপি ও এডিসিপি পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিজেরাই মোটরসাইকেলে চড়ে প্রতিটি রুটে চেক করছেন । শ্রী দরবার সাহেবে অমৃতপালের আগমন ঘটতে পারে বলে খবর রয়েছে ৷ আশপাশের বিভিন্ন হোটেলেও অমৃতপালের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ । সমস্ত রুট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে চেক করা হচ্ছে ৷ ডিসিপি পারমিন্দর ভাণ্ডাল নিজে মোটরসাইকেলে চড়ে সব রুট চেক করছেন বলে জানা গিয়েছে ।
এর আগে, সরকারকে একটি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল অকাল তখত ৷ অমৃতপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযানের সময় গ্রেফতার হওয়া যুবকদের মুক্তি দেওয়ার জন্য পঞ্জাব সরকারকে 24 ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেয় এই সংগঠন ৷ অকাল তখতের জথেদার গিয়ানি হরপ্রীত সিং রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে একটি বিবৃতি জারি করে প্রশ্ন তোলেন যে, কেন হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিকারীদের বিরুদ্ধে একই রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ?
আরও পড়ুন: কোন ভুল করেননি অমৃতপাল, বলছেন তাঁর এনআরআই স্ত্রী
পঞ্জাবের চলমান অশান্তি নিয়ে আলোচনা করার জন্য বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, সাংবাদিক এবং ধর্মীয় ও সামাজিক নেতা-সহ এই শিখ সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে সমাবেশে ভাষণ দিয়ে অকাল তখতের জথেদার প্রশ্ন করেন যে, কেন অমৃতপাল সিংকে সমর্থনকারীদের উপর জাতীয় সুরক্ষা আইন (এনএসএ) চাপানো হয়েছে ? তিনি বলেন যে, দেশে লক্ষ লক্ষ লোক হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে সরব হচ্ছে, তাদেরও তাহলে জাতীয় সুরক্ষা আইনে অভিযুক্ত করা উচিত ।