ETV Bharat / bharat

ধন্দ তৈরি হচ্ছে, ফাংগাসের বিভিন্ন নামে আপত্তি এইমস প্রধানের - ইয়েলো ফাংগাস

"ব্ল্যাক ফাংগাস", "হোয়াইট ফাংগাস", এরপর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে "ইয়েলো ফাংগাস"-এর ৷ গাজিয়াবাদে একটি হাসাপাতালে কোভিড থেকে সেরে ওঠার সময়ে এই ফাংগাসের সংক্রমণে ফের বিধ্বস্ত রোগী ৷ যদিও ফাংগাসের এই ধরনের নামকরণ করতে নারাজ এইমস-এর ডিরেক্টর ৷

ইয়েলো ফাংগাস
ইয়েলো ফাংগাস
author img

By

Published : May 25, 2021, 9:56 AM IST

নিউ দিল্লি, 25 মে : "ব্ল্যাক ফাংগাস", "হোয়াইট ফাংগাস", এরপর "ইয়েলো ফাংগাস" ৷ গাজিয়াবাদে 45 বছরের এক রোগীর শরীরে "ইয়েলো ফাংগাস" পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক বিপি ত্যাগী ৷ ওই রোগীর শরীরে বাকি দু'টি ফাংগাসের সংক্রমণও হয়েছে, একটি সংবাদসংস্থাকে ইএনটি বিশেষজ্ঞ এই কথা জানান ৷

বিভিন্ন ধরনের ফাংগাস কী ভাবে শরীরে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, শুধুমাত্র তার ধরনের উপর ভিত্তি করে ফাংগাসের রং দিয়ে এই নামকরণে "ধন্দ" তৈরি হতে পারে ৷ তাই এ ধরনের নামকরণের বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের সতর্ক হতে বলেছেন এইমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া ৷

"ইয়েলো ফাংগাস"-এর লক্ষণ-

ক্লান্তি বোধ করা, অরুচি, ওজন কমে যাওয়া ৷ সংক্রমণ মারাত্মক হলে পুঁজ বের হতে পারে, ক্ষত সারতে অনেক বেশি সময়, অপুষ্টিতে ভোগা, বিভিন্ন অঙ্গ ঠিকমতো কাজ না-করা, চোখ বুজে আসছে ৷

কী বলছেন চিকিৎসক বিপি ত্যাগী ?

শরীরের ভিতরে ছড়িয়ে পড়া এই সংক্রমণ প্রথম দিকে ধরা পড়লে মারাত্মক "ইয়েলো ফাংগাস" থেকে রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব ৷ তবে যে কোনও লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ৷ মনে করা হচ্ছে, এই সংক্রমণ রুখতে অ্যান্টি-ফাংগাল ইনজেকশন অ্যামফোটেরাসিন বি কার্যকরী ৷ গাজিয়াবাদের এই রোগীর শরীরেই তিনি প্রথম এই সংক্রমণ দেখতে পান ৷

এই সংক্রমণ প্রতিরোধে সব সময় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, স্বাস্থ্যবিধিসম্মত শৌচাগার ব্যবহারে সচেতন হতে হবে ৷ কারণ এই ফাংগাসের অস্বাস্থ্যকর, আর্দ্র পরিবেশে ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি ৷

এই করোনা সংক্রামিত রোগী কয়েক সপ্তাহ ধরে হাসাপাতালে ভর্তি ছিলেন ৷ ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন, কিন্তু গত চার দিন ধরে তার মুখের একদিক ফুলে ওঠে, চোখ বন্ধ হয়ে যায়, নাক দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে ৷

তবে গাজিয়াবাদের চিফ মেডিক্যাল অফিসার এনকে গুপ্তা জানিয়েছেন যে তিনি "ইয়েলো ফাংগাস" বিষয়ে কোনও খবর পাননি ৷

ফাংগাসের নামকরণ নিয়ে এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া

ফাংগাসের রং, শরীরের কোথায় সংক্রমণ হচ্ছে, শুধুমাত্র এই তথ্যগুলির ভিত্তিতে ফাংগাসের নামকরণ করলে তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবে ৷

সাধারণত মিউকরমাইকোসিস, ক্যানডিডা, অ্যাসপারগিলোসিস, এই তিন ধরনের ফাংগাসের সংক্রমণ দেখতে পাই আমরা ৷ যে সব কোভিড সংক্রামিত রোগীর ডায়াবেটিস রয়েছে, চিকিৎসায় অতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে মিউকরমাইকোসিসে সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে ৷ এতে সাইনাস হতে পারে, নাকের মধ্যে এই ফাংগাস পাওয়া যায়, এমনকি মস্তিষ্কের ভিতরেও সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে এই ফাংগাসের ৷ কখনও আবার ফুসফুস, পাচনতন্ত্রের বিভিন্ন অঙ্গও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই ফাংগাসের আক্রমণে ৷

ক্যানডিডার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে "হোয়াইট ফাংগাস" সংক্রমণের ৷ মুখের ভিতরে, খাদ্যনালীতে সাদা ছোপ এই সংক্রমণের লক্ষণ, এমনকি জিভের রংও সাদা হয়ে যেতে পারে, গোপনাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৷ রক্তেও ছড়িয়ে পড়ে এই ফাংগাস ৷

নিউ দিল্লি, 25 মে : "ব্ল্যাক ফাংগাস", "হোয়াইট ফাংগাস", এরপর "ইয়েলো ফাংগাস" ৷ গাজিয়াবাদে 45 বছরের এক রোগীর শরীরে "ইয়েলো ফাংগাস" পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক বিপি ত্যাগী ৷ ওই রোগীর শরীরে বাকি দু'টি ফাংগাসের সংক্রমণও হয়েছে, একটি সংবাদসংস্থাকে ইএনটি বিশেষজ্ঞ এই কথা জানান ৷

বিভিন্ন ধরনের ফাংগাস কী ভাবে শরীরে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, শুধুমাত্র তার ধরনের উপর ভিত্তি করে ফাংগাসের রং দিয়ে এই নামকরণে "ধন্দ" তৈরি হতে পারে ৷ তাই এ ধরনের নামকরণের বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের সতর্ক হতে বলেছেন এইমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া ৷

"ইয়েলো ফাংগাস"-এর লক্ষণ-

ক্লান্তি বোধ করা, অরুচি, ওজন কমে যাওয়া ৷ সংক্রমণ মারাত্মক হলে পুঁজ বের হতে পারে, ক্ষত সারতে অনেক বেশি সময়, অপুষ্টিতে ভোগা, বিভিন্ন অঙ্গ ঠিকমতো কাজ না-করা, চোখ বুজে আসছে ৷

কী বলছেন চিকিৎসক বিপি ত্যাগী ?

শরীরের ভিতরে ছড়িয়ে পড়া এই সংক্রমণ প্রথম দিকে ধরা পড়লে মারাত্মক "ইয়েলো ফাংগাস" থেকে রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব ৷ তবে যে কোনও লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ৷ মনে করা হচ্ছে, এই সংক্রমণ রুখতে অ্যান্টি-ফাংগাল ইনজেকশন অ্যামফোটেরাসিন বি কার্যকরী ৷ গাজিয়াবাদের এই রোগীর শরীরেই তিনি প্রথম এই সংক্রমণ দেখতে পান ৷

এই সংক্রমণ প্রতিরোধে সব সময় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, স্বাস্থ্যবিধিসম্মত শৌচাগার ব্যবহারে সচেতন হতে হবে ৷ কারণ এই ফাংগাসের অস্বাস্থ্যকর, আর্দ্র পরিবেশে ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি ৷

এই করোনা সংক্রামিত রোগী কয়েক সপ্তাহ ধরে হাসাপাতালে ভর্তি ছিলেন ৷ ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন, কিন্তু গত চার দিন ধরে তার মুখের একদিক ফুলে ওঠে, চোখ বন্ধ হয়ে যায়, নাক দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে ৷

তবে গাজিয়াবাদের চিফ মেডিক্যাল অফিসার এনকে গুপ্তা জানিয়েছেন যে তিনি "ইয়েলো ফাংগাস" বিষয়ে কোনও খবর পাননি ৷

ফাংগাসের নামকরণ নিয়ে এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া

ফাংগাসের রং, শরীরের কোথায় সংক্রমণ হচ্ছে, শুধুমাত্র এই তথ্যগুলির ভিত্তিতে ফাংগাসের নামকরণ করলে তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবে ৷

সাধারণত মিউকরমাইকোসিস, ক্যানডিডা, অ্যাসপারগিলোসিস, এই তিন ধরনের ফাংগাসের সংক্রমণ দেখতে পাই আমরা ৷ যে সব কোভিড সংক্রামিত রোগীর ডায়াবেটিস রয়েছে, চিকিৎসায় অতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে মিউকরমাইকোসিসে সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে ৷ এতে সাইনাস হতে পারে, নাকের মধ্যে এই ফাংগাস পাওয়া যায়, এমনকি মস্তিষ্কের ভিতরেও সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে এই ফাংগাসের ৷ কখনও আবার ফুসফুস, পাচনতন্ত্রের বিভিন্ন অঙ্গও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই ফাংগাসের আক্রমণে ৷

ক্যানডিডার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে "হোয়াইট ফাংগাস" সংক্রমণের ৷ মুখের ভিতরে, খাদ্যনালীতে সাদা ছোপ এই সংক্রমণের লক্ষণ, এমনকি জিভের রংও সাদা হয়ে যেতে পারে, গোপনাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৷ রক্তেও ছড়িয়ে পড়ে এই ফাংগাস ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.