নায়দিল্লি, 20 জুন: আজ অগ্নিপথ (Agnipath Scheme Protests) প্রত্যাহারের দাবিতে একাধিক সংগঠনের তরফে ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে (Extra Security Arrangement in All State Due to Bharat Bandh) ৷ এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে আবারও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ ফলে আগাম সতর্কতা হিসেবে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে সব রাজ্য সরকারের তরফে ৷ বিশেষ করে 14 জুনের পর থেকে অগ্নিগর্ভ হয়ে থাকা রাজ্যগুলিতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ যার মধ্যে রাজধানী দিল্লি, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, কেরালার মতো রাজ্যগুলি রয়েছে ৷ অন্যদিকে, আজও কংগ্রেস, আম আদমি পার্টির তরফে যন্তরমন্তরে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি রাখা হয়েছে ৷
এ দিন দিল্লি-গুরুগ্রাম এক্সপ্রেসওয়েতে ব্যাপক যানজট তৈরি হয় ৷ ভারত বনধে বাড়তি নিরাপত্তার কারণে রাজধানীতে প্রবেশকারী সব গাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ ৷ যার জেরে দিল্লি-গুরুগ্রাম এক্সপ্রেসওয়েতে এই যানজট তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ পাশাপাশি, দিল্লি ও তার সংলগ্ন এলাকা যেমন, ফরিদাবাদ, নয়ডায় 144 ধারা জারি করা হয়েছে ৷ 4 জনের বেশি জমায়েত করলে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে ৷ রাজধানীর রাস্তায় বাড়তি পুলিশও নিয়োগ করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ৷
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে (Agnipath Scheme Protests) ৷ পাশাপাশি, সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তদে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানানো হয়েছে ৷ বিশেষ করে রেল স্টেশনগুলিতে বাড়তি জিআরপি ও আরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে ৷ পঞ্জাবে পুলিশকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি করে নজরদারি চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় অগ্নিপথ প্রকল্প সংক্রান্ত কোনও ভুয়ো তথ্য ছড়ালে বা উস্কানিমূলক কিছু পোস্ট করলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে ৷
এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বিহারে ৷ সেখানে সেনার তিন বাহিনীতে নিয়োগ সংক্রান্ত অগ্নিপথ প্রকল্প প্রত্যাহারের দাবিতে পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি খারাপ হয়েছে ৷ ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বিহারে ৷ এই পরিস্থিতিতে বিহারে 20টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা আজও বন্ধ রাখা হয়েছে ৷ বিহারে বিজেপি ও জেডিইউ’র পার্টি অফিসগুলিতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ সেখানে পার্টি অফিসগুলিকে বিক্ষোভকারীদের সহজ লক্ষ্য হিসাবে মনে করা হচ্ছে ৷ ঝাড়খণ্ডে আগাম সতর্কতা হিসাবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে ৷