নয়াদিল্লি, 14 অগস্ট: 77তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্য়ে রাজধানী দিল্লিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। 40 হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী, অ্যান্টি-ড্রোন ব়্যাডার, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট বন্দুক, ফেসিয়াল রিকগনিশন সিসিটিভি ক্যামেরা-সহ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যাবতীয় বন্দবস্ত করা হয়েছে ৷ একই সঙ্গে, সিল করে দেওয়া হয়েছে দিল্লির যাবতীয় সীমানাও ৷
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লালকেল্লার প্রাচীর থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন ৷ 21 তোপ ধ্বনির পর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণও দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার দিল্লির বিশেষ পুলিশ কমিশনার এইচ জি এস ধালিওয়াল বলেন, "15 অগস্ট অত্যন্ত সংবেদনশীল ৷ এরই সঙ্গে, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে জি-20 সভাও রয়েছে ৷ মূল অনুষ্ঠানগুলি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে ৷" এই বছর সেপ্টেম্বরে রাজধানীতে জি-20 নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। দিল্লির এক শীর্ষ পুলিশ কর্তা বলেন, "সন্ত্রাস-বিরোধী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কোনও রকম অসামাজিক কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না ৷ সে ক্ষেত্রে দিল্লি পুলিশকে যা পদক্ষেপ করতে হবে আমরা তা করছি ৷"
অন্যদিকে, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ভিভিআইপি এবং ভিআইপি-সহ প্রায় 30 হাজার মানুষের উপস্থিতি থাকবে লালকেল্লা চত্বরে ৷ আর সেই দিকে খেয়াল রেখেই, দিল্লি পুলিশ টহলের পাশাপাশি গাড়িতে চেকিংও বাড়িয়েছে। নিরাপত্তা পরিকল্পনায় এবার বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হচ্ছে লালকেল্লা জুড়ে ৷ ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি), স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি), সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (সিএপিএফ) এবং দিল্লি পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করছে। ইতিমধ্যেই 200 মিটার ব্যাসার্ধ জুড়ে লালকেল্লাকে ঘিরে রেখেছে আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানরা ৷ বাকি এলাকাগুলিতে থাকছে দিল্লি পুলিশ ৷ দুর্গের আশপাশের ছাদে থাকছে স্নাইপার এবং শার্পশুটাররা ৷
আগামিকাল সকাল ন'টায় আনুষ্টানিকভাবে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলবে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। আর এই পুরো সময়ে এলাকা কঠোরভাবে একটি নো-ফ্লাই জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ যে কোনও ধরণের এয়ার বেলুন, ড্রোন সব নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের সমাপ্তির পর ঘুড়ি ওড়ানোর অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। অন্যদিকে, 7-লোক কল্যাণ মার্গ থেকে লালকেল্লা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোদির পুরো যাত্রাপথ এক হাজারের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারি চালানো হবে। দিল্লি পুলিশের মতে, রাস্তায় পুলিশ কর্মীরা যে কোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত থাকবে। এক শীর্ষ পুলিশ কর্তা বলেন, "আমরা বিভিন্ন ইনপুট পেয়েছি, যার ভিত্তিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷"
আরও পড়ুন: অমৃত আজাদিতেও আদিবাসী সমাজে উপেক্ষিত 'নেহরুর বউ' বুধনি মেঝান
রাস্তায় থাকবে প্রায় তিন হাজার ট্রাফিক পুলিশ কর্মী ৷ ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ কমিশনার এসএস যাদব বলেন, "সোমবার রাত থেকেই ভারী এবং মাঝারি পণ্যের যানবাহনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে ৷ মঙ্গলবার অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরই ফের তাদের দিল্লিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে ৷" তবে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার চলাচল যাতে ব্যাহত না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।