হায়দরাবাদ, 18 ডিসেম্বর: বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন এক মহিলা ৷ তাঁর কাছে এসে এক ব্যক্তি তাঁকে লিফট দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তিনি যেতে না-চাইলেও তাকে বিভ্রান্ত করে হায়দরাবাদের প্রশান্তনগর রেলওয়ে কোয়ার্টারের কাছে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় এরপর মহিলাকে ধর্ষণ করে। তারপর সে বন্ধুদের ফোন করে ডাকে ৷ তারা সকলে মিলে ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করে এবং তাঁকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে 7 ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার রাতে ৷ ঘটনায় অভিযুক্ত 5 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হায়দরাবাদের প্রশান্তনগর রেলওয়ে কোয়ার্টারের কাছে ওই মহিলাকে গণধর্ষণকারী 5 জনকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়েছে। ইস্ট জোনের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ডিসিপি) সুনীল দত্ত জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে ৷ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তাদের গতকাল আদালতে তোলা হয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্নি এসু (32), মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সে প্রশান্তনগরের বাসিন্দা এবং একজন মেকানিক। গত 7 ডিসেম্বর মধ্যরাতে বাইকে করে তরনাকা থেকে প্রশান্তনগরেকর দিকে যাচ্ছিল ৷ তখনই সে দেখে এক মহিলাকে দাঁড়িয়ে থাকতে ৷ সে তাঁর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে তিনি কেন দাঁড়িয়ে রয়েছেন ৷ এরপর ওই মহিলা জানান, বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি ৷ ওই মহিলাকে লিফটের প্রস্তাব দেয় এবং বলে সে তাঁকে গন্তব্যস্থলে নামিয়ে দেবে। মহিলার সম্মতি না-থাকলেও তাঁকে বাইকে করে প্রশান্তনগর রেলওয়ে কোয়ার্টারের কাছে একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
এরপর তার বন্ধু সীতা মধুয়াদবকে (31) ফোন করে ৷ সে-সহ আরও তিনজন আসে ৷ তারা ফের ধর্ষণ করে ওই মহিলাকে। তারা হল- শ্রীগিরি প্রশান্তকুমার (20), তরুণকুমার (20), এবং রোহিত (19) ৷ এমন কাণ্ড ঘটনার পর তারা ওই মহিলাকে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে ৷ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। তাদের গতকাল আদালতে তোলা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: