আলিগড়, 29 মে : আলিগড় বিষ মদ খেয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল 35 ৷ ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ আরও 15 জন ৷ আপাত জেএন মেডিক্য়াল কলেজ এবং জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের তালিকায় গ্রামবাসীর পাশাপাশি এলাকারই একটি গ্য়াস বটলিং প্লান্টের গাড়ির চালক-সহ অন্য় কর্মীরাও রয়েছেন ৷
উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বেশি কয়েকটি গ্রামের মানুষের প্রাণ গিয়েছে ৷ প্রশাসনের হাতে আসা তথ্য বলছে, বিষ মদ খেয়ে যাঁরা মারা গিয়েছেন বা যাঁরা অসুস্থ হয়েছেন তাঁরা লোধা এলাকার করসুয়া, নিমানা, অন্ডলা এবং হেবতপুর গ্রামের বাসিন্দা ৷
ঘটনায় ইতিমধ্যেই টনক নড়েছে রাজ্য সরকারের ৷ অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ৷ জেলাশাসক চন্দ্র ভূষণ জানিয়েছেন, বিষ মদ খেয়ে মৃত্য়ুর ঘটনা সামনে আসার পরই পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন ৷ এখনও পর্যন্ত চারটি বৈধ মদের দোকান সিল করে দেওয়া হয়েছে ৷ ম্য়াজিস্ট্রেট পর্যায়ের আধিকারিককে দিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত প্রক্রিয়াও ৷ 15 দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট তদন্তকারীকে তার রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ পাশাপাশি, এই ঘটনার পরই জেলা আবগারি আধিকারিক, সংশ্লিষ্ট দুই মহকুমা আধিকারিক-সহ স্থানীয় প্রশাসনের বেশ কয়েক জন উচ্চপদস্থ কর্তাকে নোটিসও পাঠানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : বিষ মদে উত্তরপ্রদেশে 7 জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও 5 জন
এদিকে, বিষ মদ কাণ্ডে রুজু হয়েছে তিনটি মামলা ৷ স্থানীয় লোধা, খের এবং জবাং থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলাগুলি রুজু করা হয়েছে ৷ অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন মোট 12 জন ৷ যাঁদের মধ্যে ধৃত মদের কারবারি অনিল চৌধুরী, মদের দোকানের ম্যানেজার নরেন্দ্র এবং মদ বিক্রেতা অজয়ও রয়েছেন ৷ তবে মূল দুই অভিযুক্ত বিপিন যাদব ও ঋষি শর্মা ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ৷ তাঁদের নামে 50 হাজার টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ প্রশাসন ৷