সিহোর (মধ্য়প্রদেশ), 26 মার্চ: প্রতারণার মামলা-সহ আরও একাধিক মামলায় আসামিদের 250 বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিল আদালত ৷ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিচারক সঞ্জয় কুমার শাহী বিশেষ আদালতে সাই প্রসাদ কোম্পানির চেয়ারম্যান বালাসাহেব ভাপকার এবং সেই সঙ্গে কোম্পানির সিহোর শাখার কর্মচারী গঙ্গাধর বার্মা, লখনলাল বার্মা, জিতেন্দ্রী কুমার, রাজেশের বাবা ভাগবত পারমারকে দোষী সাব্যস্ত করে (imprisonment to Sai Prasad Company Chairman in Sehore) ৷
2009 সালের 17 নভেম্বর থেকে 2016 সালের 13 মার্চ- এই সময়কালের মধ্যে অভিযুক্ত দীপ সিং বার্মা, রাজেশ ওরফে চেতনারায়ণ পারমার, লখনলাল বার্মা, জিতেন্দ্র কুমার বার্মা এবং বালাসাহেব ভাপকর একটি চক্রান্ত করে ৷ সিহোর জেলার আশপাশের গ্রামে তারা নিজেদের সাই প্রসাদ প্রপার্টি কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ডায়রেক্টর, সিএমডি, এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দেয় ৷ গ্রামবাসীদের লোভ দেখায়, 5 বছরে সাই প্রসাদ কোম্পানি টাকা দ্বিগুণ করে দেবে ৷ এই ভুয়ো আশ্বাস দিয়ে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা জমা নেয় ৷ বিনিয়োগকারীদের দেওয়া পলিসির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে বিনিয়োগকারীরা সাই প্রসাদ কোম্পানির সিহোর শাখা কার্যালয়ে যোগাযোগ করে ৷ কিন্তু দেখা যায়, কোম্পানির অফিসটি তালাবদ্ধ ৷
এরপর বিনিয়োগকারীরা অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৷ তখন ওই অভিযুক্তরা তাদের টাকা পেয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেয় ৷ এরপরও বিনিয়োগকারীরা তাদের টাকা ফেরত না-পেয়ে প্রথমে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে 420 ধারার অধীনে দীপসিংহ, জিতেন্দ্র কুমার, লখনলাল বার্মা, রাজেশ ওরফে চেতনারায়ণ পারমারকে গ্রেফতার করে ৷ এরপর তদন্ত করে পুরো বিষয়টি সামনে আসে ৷ প্রতারণা কাণ্ড ধরা পড়ে ৷
ফেব্রুয়ারির শেষে কর্ণাটক হাইকোর্ট একটি অভিনব সাজা ঘোষণা করে ৷ 81 বছরের এক বৃদ্ধ দোষী সাব্যস্ত হয় ৷ তাঁকে প্রথমে দু'বছরের কারাবাসের সাজা দিয়েছিল আদালত ৷ কিন্তু তাঁর পরিবারে অসুস্থ স্ত্রী আছেন, যাঁকে দেখাশোনার আর কেউ নেই ৷ এই পরিস্থিতিতে আদালত ওই প্রৌঢ়ের সাজা কমিয়ে তিনদি করে ৷ এর সঙ্গে স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তাঁকে এক বছর বিমা পারিশ্রমিকে সেবামূলক কাজ করতে হবে বলে নির্দেশ দেয় আদালত ৷
আরও পড়ুন: দোষী সাব্যস্ত অশীতিপর প্রৌঢ়, সাজা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এক বছরের সেবা