রাঁচি, 22 অক্টোবর: ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) জামতারা (Jamtara) জেলায় গত দু'বছরে অন্তত 146টি প্রজাতির পাখির উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ৷ এমনটাই দাবি করেছেন স্থানীয় বনাধিকারিক অজিঙ্ক বঙ্কর (Forest Officer Ajinkya Bankar) ৷ জামতারার ডিএফও (DFO) অজিঙ্ক মনে করেন, পাখি ও পরিবেশ সম্পর্কে আমজনতা আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন হয়েছে ৷ সেই কারণেই এই অঞ্চলে বন্য পাখির সংখ্যা বাড়ছে ৷ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এসে এই অঞ্চলে ঘাঁটি গাড়ছে ৷ আর তারই সুফল পাচ্ছে জামতারা ৷
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রজাতির এই পাখিগুলির নাম নথিভুক্ত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে বন দফতর ৷ এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বিরল প্রজাতির পাখিরও সন্ধান মিলেছে ৷ পাখির প্রজাতিগুলির নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে হিন্দি এবং সাঁওতালি ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ যাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষে এই তথ্যগুলি বোঝা সহজ হয় ৷ বন দফতর মনে করছে, এর ফলে স্থানীয় মানুষ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির সংরক্ষণে আরও উৎসাহী হবে ৷
আরও পড়ুন: সামনে পুলিশ সুপারের দফতর, দেদার বিক্রি হচ্ছে খাঁচাবন্দি পাখি
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পাখি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন জামতারার বর্তমান ডিএফও ৷ সবার আগে বনাঞ্চলগুলিতে বৃক্ষরোপণের উপরের জোর দিয়েছেন তিনি ৷ এতে পাখির আশ্রয়স্থল ও খাদ্যের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হয়েছে ৷ ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল পাখির আবাস্থল হিসাবে উপযুক্ত হলেও সমস্যা রয়েছে অন্য জায়গায় ৷ এই রাজ্যের বনভূমিগুলিতে চোরাশিকারিদের উপদ্রব বড় বেশি ৷ আর সেটাই পাখির অবাধ বিচরণে প্রধান বাধা ৷
এই প্রসঙ্গে জামতারার ডিএফও সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "এই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান সমস্যা হল পাখির চোরাশিকার ৷ এমনকী, স্কুলের পড়ুয়ারাও পাখি শিকার করে ৷ কারণ, তারা পাখির সংরক্ষণ নিয়ে একটুও সচেতন নয় ৷ তারা জানে না, আমাদের সমাজ এবং পরিবেশের জন্যই পাখি সংরক্ষণ জরুরি ৷"
ডিএফও জানিয়েছেন, গত দু'বছর ধরে এই এলাকার বনাঞ্চলগুলিতে সমীক্ষা চালানো হয়েছে ৷ তাতে 146টি প্রজাতির পাখির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ৷ যার মধ্যে বিরল প্রজাতির পরিযায়ী পাখিই রয়েছে 40 ধরনের ৷ এই ধরনের প্রজাতির মধ্যে অন্যতম হল, কমন পোচার্ড, ইন্ডিয়ান রিভার টার্ন, উলি-নেক্ড স্টর্ক, ব্ল্য়াক হেডেড আইবিস, আলেকজান্ডারাইন প্য়ারাকীট প্রভৃতি ৷