নয়াদিল্লি, 24 মার্চ: সিবিআই ও ইডি-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা যে মামলাগুলির তদন্ত করছে, সেগুলির ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের গ্রেফতার, হেফাজত এবং জামিনের বিষয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করে দেওয়া হোক ৷ এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা রুজু করল 14টি বিরোধী রাজনৈতিক দল (14 Opposition Parties in SC) ৷
যেসমস্ত মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে 7 বছরের বেশি সময়ের জন্য কারাবাস হতে পারে, আবার নাও হতে পারে, সেইসব মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে এই গাইডলাইন তৈরি করে দেওয়ার দাবি তুলেছেন মামলাকারীরা ৷ তবে, খুন, ধর্ষণ এবং সন্ত্রাসবাদের মতো গুরুতর অপরাধের মামলাগুলিকে এই আবেদনের বাইরে রাখা হয়েছে ৷
মামলাকারীদের বক্তব্য, তদন্তের নামে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতানেত্রীদের নানা ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ তাঁদের সাংবিধানিক এবং সাধারণ অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে ৷ কেন্দ্রীয় সরকার বা বিজেপির বিরোধিতা করলেই তাঁদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের মতো সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ সেই কারণেই এই বিষয়ে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ চাওয়া হচ্ছে ৷
গ্রেফতারের ক্ষেত্রে মামলাকারীদের বক্তব্য হল, যদি দেখা যায় অভিযুক্ত রাজনৈতিক নেতা বা নেত্রী অন্যত্র পালিয়ে যেতে পারেন, ক্ষমতা খাটিয়ে প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন বা সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন, তাহলে তাঁদের গ্রেফতার করা যেতে পারে ৷ তা না হলে অভিযুক্তকে নির্দিষ্ট সময়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে ৷ বা খুব বেশি হলে তাঁকে গৃহবন্দিও করে রাখা যেতে পারে ৷
অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি জামিনের আবদেন করেন, তাহলেও উপরোক্ত সম্ভাবনাগুলি খতিয়ে দেখার আবেদন করেছেন মামলাকারীরা ৷ তাঁদের বক্তব্য, অভিযুক্ত যদি পালিয়ে না-যান, তদন্তে বাধা সৃষ্টি না-করেন, তাহলে জামিন দিতে আপত্তি থাকাটা কাঙ্ক্ষিত নয় ৷
ভারতীয় সংবিধানের 21 নম্বর ধারায় ব্যক্তিস্বাধীনতাকে সুরক্ষিত করা হয়েছে ৷ এক্ষেত্রে মামলাকারীদের অভিযোগ, বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের নেতা, নেত্রীরা যখনই তাঁদের বিরোধী হওয়ার দায়িত্ব পালন করছেন, তখনই তাঁদের নানাভাবে নিশানা করা হচ্ছে ৷ তাঁদের ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে, তেমনটা যাতে না করা হয়, সুপ্রিম কোর্টের কাছে তাও নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারীরা ৷
আরও পড়ুন: সিবিআই-ইডির ডিরেক্টরদের বিজেপির লোকাল প্রেসিডেন্ট বলে কটাক্ষ মমতার
প্রসঙ্গত, এই 14 দলের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, আরজেডি, আপ, বিআরএস, আরজেডি প্রভৃতি ৷ এদিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলাটি উত্থাপিত করা হয় ৷ আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছে এবং এর প্রথম শুনানি হবে আগামী 5 এপ্রিল ৷