পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / technology

আজ ইন্টারন্য়াশনাল ডে অফ ওম্যান অ্যান্ড গার্লস ইন সায়েন্স, দিনটির তাৎপর্য কি ! - WOMEN AND GIRLS IN SCIENCE

10 বছর ধরে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে International Day of Women and Girls in Science ৷ প্রতি বছর 11 ফেব্রুয়ারি উদযাপন করা হয় দিনটি ৷

International Day of Women and Girls in science
ইন্টারন্য়াশনাল ওম্যান অ্যান্ড গার্লস ইন সায়েন্স ডে (গেটি ইমেজ)

By ETV Bharat Tech Team

Published : Feb 11, 2025, 11:34 AM IST

হায়দরাবাদ:যুগ বদলেছে, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছেন নারী ও কন্যারা ৷ তাঁদের এই এগিয়ে চলাকে উৎসাহিত করতে প্রতি বছর 11 ফেব্রুয়ারি পালিত হয় ইন্টারন্য়াশনাল ওম্যান অ্যান্ড গার্লস ইন সায়েন্স ডে ৷ ভারত-সহ বিশ্বের দরবারে যেসমস্ত নারী ও কন্যা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বিপ্লব ঘটিয়েছেন তাঁদের প্রতিভাকে স্বিকৃ্তী ও উৎসাহিত করতেই এই উদ্যোগ জাতি সংঘের ৷

AI ব্যবহারে বাড়ছে সাইবার অপরাধের সম্ভবনা, হুঁশিয়ারি বিশেষজ্ঞদের

ইউনেসকোর তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমান যুগে নারী ও মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় আগ্রহ আগের থেকে বেড়েছে ৷ উচ্চপদে প্রতিনিধিত্ব থেকে যেকোনও দায়িত্ব নারীরা সাফল্যের সঙ্গে সামলাচ্ছেন ৷ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়রিং এবং গণিত (STEM) শাখা বছরের পর বছর ধরে কৃতিত্বের সঙ্গে সামালাচ্ছেন ৷ চলতি বছরের IDGWS উদযাপন ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত UNESCO সদর দফতরে অনুষ্ঠিত হবে ৷ অনলাইন অংশগ্রহণ দুপুর 2টো থেকে করতে পারবেন ৷ অনুষ্ঠান চলবে রাত 8.30 মিনিট পর্যন্ত ।

ইন্টারন্য়াশনাল ওম্যান অ্যান্ড গার্লস ইন সায়েন্স দিবস (IDWGS)

2025, 11 ফেব্রুয়ারি, ইন্টারন্য়াশনাল ওম্যান অ্যান্ড গার্লস ইন সায়েন্স দিবস-এর 10তম বর্ষ ৷ এই দিনটি উদযাপনের লক্ষ্য হল বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানে নারীদের অবদান উদযাপন করা । নারী বিজ্ঞানীদের স্বীকৃতি জানাতে প্রতি বছর বিশ্ব জুড়ে 11 ফেব্রুয়ারি IDWGS উদযাপন করা হয়। IDGWS-এর দশম বার্ষিকীতে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, "STEM-এ ক্যারিয়ার তৈরিতে আহ্বান জানিয়েছেন নারী ও মেয়েদের ৷"

2025 আইডিডব্লিউএস-এর থিম

ইউনেস্কো প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় অর্থনীতিতে STEM (Science, Technology, Engineering, and Mathematics)-এর গুরুত্ব অপরিসীম ৷ বেশিরভাগ দেশ STEM-এ ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্যের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি । বিশ্বব্যাপী গবেষকদের মধ্যে মাত্র 33.3 শতাংশ নারী এবং STEM ক্ষেত্রে মাত্র 35 শতাংশ নারী রয়েছেন । 2016 সালে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী 30 শতাংশ দেশ গবেষকদের মধ্যে লিঙ্গ বৈষম্যের ঊর্ধ্বে উঠতে পেরেছিল ৷

ইউনেস্কো প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, STEM-তে শীর্ষ স্তরের পদে নারীদের সংখ্যা খুবই কম ৷ মাত্র 22জন নারী বৈজ্ঞানিক শাখায় নোবেল পুরষ্কার জিতেছেন। ইতিমধ্যেই 2030-এর এজেন্ডায় উল্লেখ করা হয়েছে, লিঙ্গ, বয়স, আয়, অক্ষমতা, জাতিগত বৈষম্য এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ের উপর তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ৷ বৈষম্য দূর করে নারী ও কন্যাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এমনটাই জানিয়েছেন ইউনেতকোর আধিকারিকরা ।

আর কোনও নির্ভয়া দেখবে না দেশ! মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে এই অ্যাপগুলি - Women Safety APPs

বিজ্ঞানে ভারতীয় নারীর কতৃত্ব

সীতা কোলম্যান-কাম্মুলা: একজন রসায়নবিদ, পরিবেশবিদ একাধারে উদ্যোক্তা ৷ তাঁর প্রতিষ্ঠিত সীতা সিম্পলি সাসটেইন ৷ এই সংস্থাটি শিল্প ইকোলজি এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্যায়ন করে ৷ উৎপাদিত পণ্য়ের পরিবেশগতভাবে সচেতনতা রক্ষাই প্রধান উদ্দেশ্য়ে ৷

সুধা মূর্তি: STEM-এ খ্যাতিমান এবং একজন লেখক হিসেবে খ্যাত, সুধা বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারদর্শী। তিনি ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন, গেটস ফাউন্ডেশনের জনস্বাস্থ্যসেবা উদ্যোগের সদস্য, একজন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষক ৷ কন্নড় ও ইংরেজিতে একাধিক বই লিখেছেন ৷

মল্লিকা শ্রীনিবাসন: ট্র্যাক্টরস অ্যান্ড ফার্ম ইকুইপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারপারসন এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ৷ তাঁর সময়ে কোম্পানি 96 বিলিয়ন টাকার রাজস্ব অর্জন করেছিল ৷ ট্র্যাক্টর, কৃষি যন্ত্রপাতি, ডিজেল ইঞ্জিন, ইঞ্জিনিয়ারিং প্লাস্টিক, হাইড্রোলিক পাম্প এবং সিলিন্ডার, ব্যাটারি, অটোমোবাইল ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং প্ল্যান্টেশনে তিনি পারদর্শী ।

নিগার শাজি: একজন ভারতীয় মহাকাশ ইঞ্জিনিয়র ৷ নিগার 1987 সালে ISRO-তে যোগদানের পর থেকে দেশের মহাকাশ অনুসন্ধানের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত । তিনি ভারতের প্রথম সৌর মিশন আদিত্য-L1-এর প্রকল্প পরিচালক ছিলেন।

সুধা ভট্টাচার্য: জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) পরিবেশ বিজ্ঞান স্কুলের অধ্যাপক সুধা ভট্টাচার্য যিনি আণবিক পরজীবীবিদ্যায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

সুনীতা সারাওয়াগি: আইআইটি মুম্বইয়ের একজন বিশিষ্ট অধ্যাপক ৷ সুনীতা ডাটাবেস এবং ডেটা মাইনিংয়ে তার যুগান্তকারী গবেষণার জন্য বিখ্যাত।

টেসি থমাস: 'ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র নারী' হিসেবে সমাদৃত ৷ টেসি ভারতের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

গগনদীপ কাং: বিখ্যাত ভারতীয় মাইক্রোবায়োলজিস্ট ৷ গগনদীপ 2019 সালে রয়্যাল সোসাইটির ফেলো দ্বারা নির্বাচিত প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন।

ব্যাগে থাকা 'এই' 5টি নিরাপত্তা গ্যাজেট মহিলাদের সুরক্ষিত রাখতে পারে! - Women Safety Gadgets

ABOUT THE AUTHOR

...view details