মল্লারপুর, 26 জুলাই: চোর সন্দেহে এক যুবককে গাছে বেঁধে গণপিটুনির অভিযোগ বীরভূমের মল্লারপুর থানার কোট গ্রামে ৷ বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ৷ আহত যুবকের বাবা মল্লারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে লালন শেখ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে মল্লারপুর থানা ৷
চোর সন্দেহে গণপিটুনির অভিযোগ (ইটিভি ভারত) স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আক্রান্ত যুবককে দাগি চোর হিসাবে চেনে এলাকার মানুষ ৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পান তিনি ৷ তার কয়েক মাস আগে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তিনি ধরা পড়েছিলেন বলে অভিযোগ ৷ তাঁর বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছিল করে মল্লারপুর থানার পুলিশ ৷ সেই অভিযোগে জেল খাটছিলেন ওই যুবক ৷ জামিনে মুক্তি পেয়ে গ্রামে ফিরে ফের চুরি শুরু করেছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের ৷
অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরে গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন চুরি যাচ্ছে ৷ রাতের অন্ধকারে জানালা দিয়ে মোবাইল চুরি যাচ্ছিল ৷ গ্রামবাসীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সেই চুরি যাওয়া মোবাইলগুলি বিক্রি করতে গিয়েই নাকি হাতেনাতে ধরা পড়ে অভিযুক্ত ৷ এর পর সন্ধেবেলা তাঁকে তুলে এনে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ৷
আক্রান্ত যুবক অভিযোগ করেছেন, "আমি টোটোতে চেপে হাজিপুর যাচ্ছিলাম ৷ রাস্তার থেকে আমাকে লালন শেখ ও তার পরিবারের লোকজনরা তাঁদের বাড়িতে তুলে নিয়ে যায় ৷ সেখানে নিয়ে গিয়ে গাছে বেঁধে আমাকে মারে ৷ আমি মোবাইল চুরি করেছি, এই সন্দেহ মারধর করেছে ৷ কিন্তু, আমার কাছ থেকে কোনও মোবাইল পায়নি ওরা ৷"
আহত যুবকের বাবা অভিযোগ করেছেন, "পুরনো শত্রুতার জন্য লালন শেখ নিজের বাড়িতে আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে যায় ৷ সেখানে নিম গাছের সঙ্গে পিছমোড়া করে বেঁধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ৷ লালনের পরিবারের লোক, গ্রামের চুরি যাওয়া মোবাইলের মালিকরাও তাঁকে মারে ৷ আমার ছেলে নির্দোষ ৷" ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছায় মল্লারপুর থানার পুলিশ ৷ আহত যুবককে উদ্ধার করে মল্লারপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয় ৷