দুর্গাপুর, 10 জানুয়ারি: স্বামীকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা ৷ চার বছর পর সাজা পেল অভিযুক্ত স্ত্রী ৷ যাবজ্জীবন সাজা হল স্ত্রী ও স্ত্রী'র দিদির । 4 বছর আগে দুর্গাপুর থানার রামানুজমের ঘটনা ৷
দুর্গাপুর থানার রামানুজমে জানে আলম মিদ্যা নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় 2021 সালের মে মাসে ৷ এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে সস্ত্রীক থাকতেন জানে আলম ৷ সেই বাড়ির পিছনের একটি গাছ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয় । জানে আলমের বাড়ি ছিল দুর্গাপুর থানার বিজড়া এলাকায় ৷ এরপর তাঁর পরিবার স্ত্রী সাফিয়া মিদ্যা ও স্ত্রী'র দিদি মনুয়ারা মিদ্যার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে । দুর্গাপুর থানার সাব-ইনস্পেক্টর মিহির কুমার দে'র অধীনে ঘটনার তদন্ত শুরু হয় ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড স্ত্রী ও তার দিদির (ইটিভি ভারত)
তদন্তের ভিত্তিতে পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন ও প্রমাণ লোপাটের তথ্য উঠে আসে ৷ ঘটনায় 3 জনকে গ্রেফতারও করা হয় ৷ এরপর সমস্ত তথ্য দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। সমস্ত দিক বিবেচনা করে বুধবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক শৈলেন্দ্র কুমার সিং সাফিয়া মিদ্যা ও মনোয়ারা মিদ্যাকে দোষী সাব্যস্ত করেন । বৃহস্পতিবার যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা হয় তাদের ৷ সেই সঙ্গে, 7 হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ।
দোষী স্ত্রীকে সাজা দিল আদালত (নিজস্ব চিত্র)
দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী ইমরান খান বলেন, "চার বছর ধরে জানে আলম মিদ্যার খুনের মামলা চলছিল। তাঁর স্ত্রী ও বড় শ্যালিকার নাম উঠে আসে । পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন করে প্রমাণ লোপাটের তথ্যও আদালতে পেশ করে পুলিশ। সমস্ত তথ্য দুর্গাপুর মহাকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছিল । এরপর সমস্ত দিক বিবেচনা করে ভারতীয় দণ্ডবিধির 302 ধারা ও 201 ধারায় বিচারক তাদের দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন । সেই সঙ্গে, 7 হাজার টাকা জরিমানাও করেন।"