কলকাতা ও শিলিগুড়ি, 20 জানুয়ারি: দু’টি ধারায় যাবজ্জীবন এবং একটি ধারায় আমৃত্যু কারাবাস ৷ আরজি কর-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে এমনই সাজা শুনিয়েছেন শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস ৷ তবে, এই রায়ে কোথাও যেন লড়াইয়ের সুযোগ থেকে গেল, এমনটাই মনে করছেন অধিকাংশ মানুষ ৷ সঙ্গে এ-ও প্রশ্ন তুলছেন, কেন শুধু সঞ্জয়ই সামনে আসছে, কেন ঘটনার মূলচক্রীরা ধরা পড়ছে না !
এ নিয়ে দমদমের বাসিন্দা শর্মিষ্ঠা বসু বলেন, "যাবজ্জীবন সাজা হয়ে একদিকে ভালোই হল ৷ এবার হাইকোর্টে আমরা আসল অপরাধীদের ধরার জন্য লড়াই করতে পারব ৷ সঞ্জয় রায়কে যদি ফাঁসি দিয়ে দিত, তাহলে তো সব এখানেই শেষ হয়ে যেত ৷ আমরা সেটা একেবারেই চাইনি ৷ আর এই যাবজ্জীবন সাজাটা ওর জন্য কিছুই নয় ৷"
শিয়ালদা আদালতের বাইরে ভিড়ের মধ্যেই ছিলেন ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা সুজাতা ঘোষ রায় ৷ তিনি বলেন, "একজনকে সাজা ঘোষণা করা হয়েছে ৷ এর অর্থ একজনই পুরো ঘটনাটি ঘটিয়েছে ৷ আমার প্রশ্ন, ওই চিকিৎসককে তাঁর কর্মক্ষেত্রে ওইভাবে একজন ব্যক্তি ধর্ষণ ও খুন করতে পারে ! আমার মনে হয় না তদন্তকারীরা সেসবে গুরুত্ব দিয়েছে ৷"