কলকাতা, 10 নভেম্বর: ফের মুখ্যসচিবকে ইমেল পাঠালেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা । মাস দুয়েক আগে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের কয়েকজন ছাত্রছাত্রী ইশা পাল-সহ সাতজনের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ করেছিলেন । সেই মামলায় বর্ধমান মেডিক্যালের তরফে কেন কোনও আইনজীবী নেই, তা জানতে চেয়ে রবিবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ইমেল করে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট ৷ তারা ওই মামলার আগামী শুনানিতে কলেজের তরফে আইনজীবী রাখার বিষয়টিকে নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ৷
মুখ্যসচিবকে পাঠানো ইমেলে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা । ইমেলে লেখা হয়েছে, "মামলার শুনানিতে আইনজীবী হাজির না থাকায় কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য আদালত জানতে পারছে না । রাজ্য বা কলেজের তরফে কোনও হলফনামাও জমা দেওয়া হয়নি । এর ফলে অভিযুক্তরা সুবিধা পাচ্ছেন । ফলে, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দাদাগিরি চালানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে ।" তাই, হুমকি সংস্কৃতি নির্মূল করতে আগামিকালের শুনানিতে কলেজের অধ্যক্ষের তরফে আইনজীবী রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা ।
জুনিয়র চিকিৎসকদের ইমেল (নিজস্ব চিত্র) উল্লেখ্য, গত 11 সেপ্টেম্বর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কয়েকজন ছাত্রছাত্রী ইশা পাল-সহ সাতজনের বিরুদ্ধে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন । সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে ওই সাত অভিযুক্তের কলেজ ও হস্টেলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে কর্তৃপক্ষ । সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ইশা পাল-সহ বাকি অভিযুক্তরা । সেই মামলার গত শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত কলেজ কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে জানান, অভিযুক্তরা ক্লাস করতে পারবেন । কিন্তু, তাঁরা হস্টেলে প্রবেশ করতে পারবেন না ।
সেদিন ছাত্রছাত্রীদের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, "একটা কলেজ কর্তৃপক্ষ কীভাবে পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করতে পারে ? এটা করতে হলে তো একটা নির্দিষ্ট অ্যাডভাইজারি কমিটি দরকার । সেটা না করেই কীভাবে পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করতে পারে কলেজ ?" এই বক্তব্যের সাপেক্ষে সুপ্রিম কোর্টের কিছু পর্যবেক্ষণও তুলে ধরেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । ওই মামলায় বিচারপতি নির্দেশ দেন, সাতজন পড়ুয়া ক্লাস করতে পারবেন এবং কোনও বাধা এলে তাঁরা পুলিশের সহায়তাও নিতে পারেন । 11 নভেম্বর সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি ।