বারাসত, 21 সেপ্টেম্বর: আরজি কর-কাণ্ডে প্রথম থেকেই প্রতিবাদের মুখ হিসেবে পরিচিত চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। তাঁর প্রতিবাদ এবং পথে নেমে লড়াই আন্দোলন কার্যত এখন চর্চার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে প্রতিনিয়ত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতেও দেখা গিয়েছে এই প্রতিবাদী চিকিৎসককে। যার জেরে অস্বস্তিও বেড়েছে তৃণমূল সরকারের। সেই প্রতিবাদী চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীকে ফের সরব হতে দেখা গেল রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে। শনিবার রাতে আরজি কর-কাণ্ডে সুবিচারের দাবিতে বারাসতে পড়ুয়াদের এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন তিনি। সেই কর্মসূচির ফাঁকেই ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে একের পর এক প্রশ্নের সোজাসাপটা জবাব দিয়েছেন চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী।
আরজি কর মামলার শুনানি 27 সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে 30 সেপ্টেম্বর করার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে রাজ্য সরকার ! কী বলবেন?
এর বিরোধিতা করে আমাদের আইনজীবীরাও পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছেন। দেখা যাক, কী পরিস্থিতি দাঁড়ায়। রাজ্য সরকার আরজি করের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অপরাধ যে করেছে তা এখন ক্রমশ সামনে আসছে। আসলে রাজ্য সরকার বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছে। কারণ, তারা জানে কী অপরাধ করেছে। আগের শুনানিতেও আপনারা দেখেছেন, সুপ্রিম কোর্টে শুনানির লাইভ স্ট্রিমিং তারা বন্ধ করতে চেয়েছে। বিচার ব্যবস্থাকে বিলম্বিত করাই রাজ্য সরকারের লক্ষ্য।
আরজি কর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ওষুধ কেনা নিয়ে গরমিলের একটা অভিযোগ সামনে এসেছে। স্বাস্থ্য ভবনের অনুমোদিত সংস্থার কাছ থেকে ওষুধ কেনা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
আমরা তো প্রথম থেকেই বলেছি, চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পিছনে রয়েছে দুর্নীতি। রাজনৈতিক মদত এবং প্রশাসনের একাংশের প্রশয়ে সেখানে একটা অপরাধ চক্র গড়ে উঠেছিল। যাঁরা দুর্নীতির আখড়া তৈরি করেছিল। তার পরিণাম এই ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা। তাই, একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ধরে নাটক করলে হবে না। গোটা ঘটনার মাথাকেও ধরতে হবে।