বালুরঘাট, 2 মে: আড়াই মাস পর প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফলাফল ৷ তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে বীরভূমের ইলামবাজারের নিউ ইন্টারিগেটেড স্কুলের ছাত্রী পুষ্পিতা বাঁসুরি ৷ মেয়েদের মধ্যে রাজ্য প্রথম। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর 691। এবারে রাজ্যের মধ্যে মাধ্যমিকে সম্ভাব্য তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে বালুরঘাটের উদয়ন প্রসাদ। ভবিষ্যতে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করে চিকিৎসক হতে চায় সে। বালুরঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র উদয়ন। অন্যদিকে, পুস্পিতা চায় ইঞ্জিনিয়ার হতে।
উদয়ন বলে, "প্রথমে খবরে শুনলাম ৷ ডাক্তারি নিয়ে পড়তে চাই ৷ ভালো পরীক্ষা দিয়েছিলাম ৷ তবে এমন ফলাফল আশা করেনি ৷ প্রতিটা বিষয়ে শিক্ষক ছিলেন ৷" বীরভূমের পুষ্পিতা বলে, "প্রায় 10 ঘন্টা পড়াশোনা করতাম ৷ ভবিষ্যতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই ৷ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা যথেষ্ট সহযোগীতা করেছেন ৷ আমার অন্য কোনও প্রাইভেট শিক্ষক ছিলেন না ৷ একাধিক মকটেস্ট নিয়ে স্কুলের শিক্ষকেরাই পড়িয়েছেন ৷ ভালো ফলাফল করে খুব আনন্দ হচ্ছে ৷ সবাই খুব খুশি ৷"
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, উদয়ন বরাবরই পড়াশোনায় ভালো। দিনে সাত থেকে আট ঘন্টা পড়াশোনা করতো সে। খেলাধুলা নয়, পড়াশোনাই তার পছন্দের বিষয়। গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে রাজ্যে মাধ্যমিকে সম্ভাব্য তৃতীয় স্থান অধিকার করা উদয়ন প্রসাদ। উদয়ন যে স্কুলের ছাত্র সেখান থেকেই মাধ্যমিকে স্থান অধিকার করেছে আরও তিন পড়ুয়া ৷ মাধ্যমিকে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে ছাত্র কৃশানু সাহা। তার প্রাপ্ত নম্বর 688। ভবিষ্যৎ-এ ডাক্তার হতে চায় কৃশানু। শাশ্বত দে ওই একই স্কুল থেকে 687 নম্বর পেয়ে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে ৷ রৌণক ঘোষ অধিকার করেছে নবম স্থান ৷ তার প্রাপ্ত নম্বর 685 ৷
পাশাপাশি, মেয়েদের মধ্যে মাধ্যমিকে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে বালুরঘাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী অর্পিতা ঘোষ। ভবিষ্যৎ-এ টেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা করতে চান অর্পিতা ঘোষ। বাড়ি বালুরঘাট শহরের বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়। প্রাপ্ত নম্বর 687 ৷ বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী আবৃত্তি ঘটকও 687 পেয়ে সপ্তম হয়েছেন। চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে ভবিষ্যতে। বাবা নির্মল ঘটক মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ। মা দেবযানী চ্যাটার্জি ঘটক প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা।