কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি: লাল কালি দিয়ে ঢেকে দিয়েও রক্ষা মিলল না। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠল 12 পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। পর্ষদের দাবি, মাধ্যমিকের ইংরাজি প্রশ্নের ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় তারা। এনায়েতপুর হাইস্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে 452 জন। সেখানে সিট পড়েছে গোপালপুর হাই স্কুলের ছাত্রদের। তার মধ্যে থেকে 7 জন এবং ভগবানপুর কেবিএস হাইস্কুলের 4 জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও জলপাইগুড়িতে ময়নাগুড়ির আমগুড়ি রামমোহন হাই স্কুলের এক ছাত্রের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এই 12 জন পরীক্ষার্থীর এবছরের পুরো মাধ্যমিক পরীক্ষাই বাতিল করা হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে।
এছাড়াও বর্ধমানের কাটোয়া 3 সেক্টরের শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যাপিঠে পরীক্ষা দিচ্ছিল কাশীরাম দাস হাইস্কুলের ছাত্ররা। সেখানে একজন পরীক্ষার্থীর থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তার সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরের বললার রাজকিশোরী হাই স্কুলের একজন এবং মালদহের পাঁচ কালিতলা হাইস্কুলের একটি ছাত্রের থেকেও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তাদেরও এদিনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
কীভাবে এই প্রশ্ন সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মাস খানের আগে থেকেই সোশাল মিডিয়ায় একটি গ্রুপ খোলা হয়। জানা গিয়েছে, সেখানেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ওই গ্রুপেই এদিন 10টায় প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যায়। সেই গ্রুপে সদস্য সংখ্যা শতাধিক। এমনকী এই গ্রুপের যে অ্যাডমিন সে নিজেও একজন পরীক্ষার্থী বলে জানা গিয়েছে। লুকিয়ে প্রশ্ন পাঠিয়ে দিলেই কোচিং সেন্টার থেকে চলে আসছে উত্তর। এই যাবতীয় সমস্ত তথ্য রয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের হাতে।