কলকাতা, 21 অগস্ট: রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার বৈঠকের পরই সরিয়ে দেওয়া হল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে । এবার আরজি করের অধ্যক্ষ হলেন চিকিৎসক অধ্যাপক মানস কুমার বনধোপাধ্যায় । আর নতুন সুপার হলেন চিকিৎসক অধ্যাপক সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় ৷
গত সপ্তাহের সোমবার নিজের পদত্যাগের কথা জানিয়েছিলেন আরজি কর হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তারপর দিন রাতেই অধ্যক্ষ হিসেব নিযুক্ত করা হয় সুহৃতা পালকে। অভিযোগ এই নতুন অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েও ব্যর্থ হন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তারপর থেকেই এই অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। এর পাশাপাশি, হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর জন্য অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার, চেস্ট মেডিসিনের প্রধান এবং তৎকালীন ডিন অফ স্টুডেন্ট যিনি বর্তমানে হাসপাতাল সুপার, তাঁদেরও পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিল আন্দোলনকারীরা। সেই দাবি কার্যত মেনে নিল স্বাস্থ্য দফতর।
এদিনই অবশ্য নতুন অধ্যক্ষ পেল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ । বারাসত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে এবার আনা হল আরজি কর হাসপাতালে। নতুন অধ্যক্ষ হলেন চিকিৎসক অধ্যাপক মানস কুমার বনধোপাধ্যায়। অপরদিকে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে দায়িত্ব দেওয়া হল বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপতালের অধ্যক্ষ হিসেবে। আর আরজি কর হাসপাতালের নতুন সুপারও হলেন চিকিৎসক সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে আনা হল বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ৷
তবে প্রাক্তন সুপার চিকিৎসক বুলবুল মুখোপাধ্যায় থাকবেন আরজি কর হাসপাতালের ৷ তিনি ফিলোজফি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে। একই সঙ্গে অরুণাভ দত্ত চৌধুরী অর্থাৎ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিনের প্রধানকে পাঠানো হয়েছে মালদা মেডিক্যালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগে।
বুধবার আন্দোলনকারীদের স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের পরেই আরজি কর হাসপাতালে আসেন স্বাস্থ্যসচিব এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা। তাদের বৈঠকের পরেই এই সিদ্ধান্ত হয় বলে খবর। যদিও এই জয় আংশিক জয় হিসেবে ধরে নিচ্ছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকেরা। আন্দোলনকারী এক চিকিৎসক সৌম্যদীপ বলেন, "হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর কাছে আমাদের প্রশাসনিক মহলে যে দাবি ছিল তা মেনে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রথম দাবি ছিল অভয়ার বিচার। তাই যতদিন না সেই বিচার যথাযথভাবে আমরা পাচ্ছি ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে। আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টে কী হয় তার ওপর আমাদের নজর থাকবে। সেই নির্দেশ দেখেই কর্ম বিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে কাল পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি জারি থাকছে।"