ব্যারাকপুর, 13 মে:তিনি যে রাঁধেন, এ কথা রাজনীতির কারবারিরা ভালোই জানেন । বাড়ির কালিপুজোর ভোগ রান্না করে আসছেন সেই কবে থেকে । এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাঙালি পদ রান্না করে খাওয়াতে চাইলেন মমতা । ব্যারাকপুরের সভা থেকে মমতা বলেন, "ওরা বলে মাছ-মাংস-ডিম খাবেন না! কেন খাব না? কেউ পরটা খেতে ভালোবাসে। কেউ রুটি খেতে ভাবলোবাসে। কেউ আবার ভালোবাসে চিংড়ির মালাইকারি খেতে। মোদিবাবু একটু খেয়ে দেখবেন নাকি! আমি নিজে রান্না করে দেব। কাউকে দিয়ে করাব না, কথা দিচ্ছি। আপনি যদি আমায় ধোকলা খেতে বলেন, আমি খাব। আমি আগেও খেয়েছি। ওটা গুজরাতে পাওয়া যায়।"
তবে ভাষণের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যে সৌজন্য ছিল তা নয়। স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে একাধিক প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা। উঠে আসে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রসঙ্গও। পাশাপাশি কল্যাণীর এইমস নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন মমতা। তাঁর দাবি, হাসাপাতাল তৈরি করতে 180 একর জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাঁর কৃতিত্ব রাজ্য সরকারকে দেয় না। কেন্দ্রীয় সরকার রেশন নিয়েও মিথ্যাচার করছে বলে দাবি করেন মমতা। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে বেশ কিছু তথ্যও তুলে ধরেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।