কলকাতা, 8 জুলাই:ডেটিং অ্যাপের আড়ালে কলকাতায় চলছিল হানিট্র্যাপ ৷ সেই জালে পড়েন প্রথম বর্ষের এক কলেজ পড়ুয়া ৷ অভিযোগ, তরুণকে আটকে রেখে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকেন দু'জন। শুধু তাই নয়, 1 লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য পড়ুয়াকেও চাপ দেওয়া হয়। শেষমেশ পুলিশি তৎপরতায় ফাঁস হয়ে গেল গোটা চক্র ৷ ঘটনার তদন্তে এক যুবতী-সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পাটুলি থানার পুলিশ ৷
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনার সূত্রপাত মাত্র কয়েক দিন আগে । প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া একটি ডেটিং অ্যাপ ডাউনলোড করেন । সংশ্লিষ্ট ডেটিং অ্যাপেই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় ওই যুবতীর। বন্ধুত্ব গভীর হতে থাকে অচিরেই। চলতি সপ্তাহে ওই পড়ুয়াকে গল্ফগ্রীনের ফ্ল্যাটে আসতে বলেন যুবতী। সেই মতো তরুণও ওই ফ্লাটে পৌঁছে যান ৷ তখন সেখানে যুবতী ছাড়া কেউ ছিল না ৷ দু'জনে ঘনিষ্ঠ হতে যান ৷ ঠিক সেই মুহূর্তে ফ্লাটের দরজায় কড়া নাড়েন এক ব্যক্তি ৷ ওই যুবতী দরজা খুলে দিলে তিনি ঘরে ঢুকে আসেন ৷ পড়ুয়া জিজ্ঞেস করায় যুবতী জানান এই ব্যক্তি তাঁর স্বামী।
অভিযোগ, এরপরই কলেজ পড়ুয়াকে ভয় দেখাতে থাকেন ওই ব্যক্তি ৷ এমনকী তরুণকে সেখান থেকে পাটুলির অন্য একটি ফ্ল্যাটেও নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানেই তাঁকে আটকে রাখা হয় । শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল । তরুণকে বাড়িতে ফোন করে এক লক্ষ টাকা চাইতে বলা হয় বলেও অভিযোগ ৷ ওই ব্যক্তি জানান, এক লক্ষ টাকা দিলে তবেই পড়ুয়াকে ছেড়ে দেওয়া হবে। গোটা বিষয়টিও সম্পর্কে কাউকে জানানো হবে না। কিন্তু এক লক্ষ টাকা না পেলে ওই ব্যক্তি সকলকে জানিয়ে দেবেন যে, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে পড়ুয়ার সম্পর্ক রয়েছে ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এরপরেই ওই পড়ুয়া ফোন করে বাড়িতে 1 লক্ষ টাকা চান ৷ হঠাৎ কলেজ পড়ুয়া এত পরিমাণে টাকা চাওয়ায় পরিবারের সন্দেহ হয় ৷ তারা বিষয়টি নিয়ে তারা পাটুলি থানার দ্বারস্থ হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে তরুণকে ফ্ল্যাটে আটকে রাখা হয়েছে ৷ ওই সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটে পুলিশ হানা দিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে ৷ পরে পুলিশ তাঁদের থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে আদতে তরুণী ও ওই ব্যক্তি স্বামী-স্ত্রী নন । তাদের গ্রেফতার করে পাটুলি থানার পুলিশ ।