তালডাংরা(বাঁকুড়া), 20 অক্টোবর:বিধানসভা উপনির্বাচনে বাঁকুড়ার তালডাংরা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করল ফাল্গুনী সিংহবাবুকে। তিনি পেশায় সারেঙ্গার গড়গড়্যা সুভাষ হাইস্কুলের শিক্ষক এবং সিমলাপাল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি । এলাকার ভূমিপুত্র ফাল্গুনী প্রার্থী হওয়ায় খুশি দলের কর্মী সমর্থকরা । ফাল্গুনীও দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তালডাংরা বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে একশো শতাংশ আশাবাদী ।
তিনি বলেন, "আমাকে প্রার্থী করার জন্য দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ ৷ প্রচারের জন্য কর্মীরা মুখিয়ে রয়েছেন ৷ কাল পরশুর মধ্যে দেওয়াল লিখন শেষ হয়ে যাবে ৷ সকলকে নিয়ে পরিকল্পনা করে প্রচারে নামব ৷ আমি বিধায়ক হলে আরও ভালো কাজ করব ৷ বিজেপির প্রার্থী নিয়ে মাথাব্যথা নেই ৷ আমি জিতেই রয়েছি ।"
তালডাংরা বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা (ইটিভি ভারত) রবিবার উপনির্বাচনের জন্য ছ'টি আসনেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। যদিও এক্ষেত্রে শাসকদলের থেকে একধাপ এগিয়ে রয়েছে বিরোধী দল বিজেপি ৷ শনিবারই গেরুয়া শিবিরের তরফে প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে ৷ যেখানে তালডাংরা বিধানসভা থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছে অনন্যা রায় চক্রবর্তীকে ।
সম্প্রতি, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন অনন্যা। তিনি বাঁকুড়া পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর । গত পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন এবং নির্দল কাউন্সিলর হিসেবেই তিনি কাজ করছিলেন। তারপর যোগ দেন বিজেপিতে। এবার তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁর উপরই ভরসা রাখল বিজেপি । যদিও তালডাংরা বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা নন তিনি ।
তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনন্যা রায় চক্রবর্তী বলেন, "আমি জয়ের ব্যাপারে একশো শতাংশ আশাবাদী ৷ দলের বাকি অভিভাবকরাও একইভাবে আমার লড়াইে ব্রতী হবেন। তৃণমূল কংগ্রেস যে নোংরামো করছে, নারীদের প্রতি অন্যায় ব্যবহার করছে, তার বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই ।"
উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে তালডাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীকে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে তৃণমূল। তিনি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারকে হারিয়ে লোকসভার সাংসদ হন। ফলে নিয়মানুযায়ী অরূপ চক্রবর্তীকে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয় । এই অবস্থায় বিধায়ক শূণ্য হয়ে পড়ে তালডাংরা।