কলকাতা, 28 মে: ঘূর্ণিঝড় রেমালে পড়ে গিয়েছে বহু গাছ ৷ আবার কোনওটা উপড়ে যাওয়ায় কেটে ফেলতে হয়েছে ৷ এমনই প্রায় 300 পূর্ণবয়স্ক গাছ যখন মুহূর্তে ইলেকট্রিক করাতের কোপে ফালা ফালা হয়ে গিয়েছে তখন এক ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে মৃত্যুর মুখ থেকে একটি গাছের প্রাণ রক্ষা করলেন ৷
ঝড়বৃষ্টির জেরে কলকাতার অন্য জায়গার মতোই উপড়ে পড়েছিল পার্কস্ট্রিট মল্লিকবাজার মোড়ের কাছে একটি পূর্ণবয়স্ক গাছ । সেই মুহূর্তে ট্রাফিক পুলিশ জানাচ্ছেন কলকাতা কর্পোরেশনের কন্ট্রোলরুমে । সেখান থেকে খবর যাবে স্থানীয় বরোতে । তারপর সেই গাছ কাটতে বেরোবেন তাঁরা । তবে সেই মুহূর্তেই ওই গাছের প্রাণরক্ষায় মরিয়া চেষ্টা শুরু করলেন এই কলকাতারই এক বস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় জয়সিংহ । একটি পরিবেশকেন্দ্রিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও চালান তিনি ।
তিলোত্তমার সবুজে ক্ষত ! রেমালের গ্রাসে মহানগরের 400 গাছ
বৃষ্টির দাপট তখনও চলছিল তার মধ্যেই তিনি প্রথমে ওই এলাকার ট্রাফিক সার্জেন্ট সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন । তারপরেই কলকাতা কর্পোরেশনের উদ্যান বিভাগের আধিকারিককে ফোন করে আবেদন করেন । নিজেই একটি হাইড্রা ও একটি ক্রেন ভাড়া করেন 15 হাজার টাকা খরচ করে । প্রথমে রাস্তার পাশে রেখে গাছকে সেই হাইড্রা ও ক্রেনের মাধ্যমে আনেন পার্ক সার্কাস । সেখানে গর্ত করে মাটি ও সার দিয়ে প্রতিস্থাপন করেন ওই উপড়ে যাওয়া গাছ । কর্পোরেশনের তরফে এই কাজের জন্য তাকে সাধুবাদ দিলেও আর্থিক খরচ বহন করছেন তিনি নিজেই ।
সঞ্জয় জয়সিংহ বলেন, "আমার লক্ষ্য শহরজুড়ে কোটি গাছ রোপণ করব । আমি একটি এই গাছ বসানোর কাজ করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও তৈরি করেছি । কিন্তু পূর্ণবয়স্ক গাছ পুনঃপ্রতিস্থাপন করার মতো ভালো কাজ আর হয় না । কারণ এই বড় গাছ পরিবেশরক্ষায় বেশি কার্যকরী । এই কাজে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ, কলকাতা কর্পোরেশন থেকে কেবল অপারেটর সকলকে সাহায্য করেছেন মানসিকভাবে ৷ আমার আবেদন যেভাবে উপড়ে পড়া সব গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করা হয় সেটা না করে সেগুলিকে প্রতিস্থাপন করলে ভালো হয় ।"
এক ফোনে আবারও দুয়ারে পৌঁছবে গাছের চারা, জেনে নিন নম্বর