কলকাতা, 10 জুলাই: সিবিআই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পদক্ষেপে রাজ্যের 'জয়' দেখছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য সরকার অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই রাজ্যে ঢালাও মামলা দায়ের করে চলেছে। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এই মামলা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে। তাতেই জয় দেখছে ঘাসফুল শিবির ৷
'সুপ্রিম' পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানাল তৃণমূল (ইটভি ভারত) 2021 সালে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল রাজ্য সরকার। তাদের তরফ থেকে আদালতে বলা হয়েছিল, রাজ্য অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরও সিবিআই বহু তদন্তে এফআইআর দায়ের করে চলেছে। সংবিধানের 131 নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কেন্দ্র-রাজ্যের সংঘাতে হস্তক্ষেপের অধিকার রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের। সেইমতো সুপ্রিম হস্তক্ষেপ দাবি করে অরিজিনাল সিভিল সুট দায়ের করেছিল রাজ্য। সেই মতো এদিন মামলা গ্রহণ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। আগামী 13 অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷
সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত না জানালেও আদালতের এই পদক্ষেপকে এবং স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল মুখপাত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের জয় দেখছেন। এদিন তিনি বলেন, "1963 সালে তৈরি হওয়ার সিবিআই এখন বিজেপির অন্যতম বিশ্বস্ত শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তারা বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য যে ব্যবহৃত হচ্ছে তা জলের মতো পরিষ্কার।"
তিনি আরও বলেন, "2018 সালের নভেম্বর মাসে রাজ্য বিধানসভায় একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল রাজ্য সিবিআইয়ের ঢালাও অনুমতি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। একা পশ্চিমবঙ্গ নয়, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানার মত 10টি রাজ্যও একই পথে হেঁটেছিল। তারপরেও আমরা দেখেছি যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ট দেখিয়ে রাজ্য সরকারের ক্ষমতাকে খর্ব করে জোর করে সিবিআই বিভিন্ন কেস রেজিস্টার করে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধেই আমরা আদালতে গিয়েছিলাম।"
শান্তনু সেনের কথায়, "সুপ্রিম কোর্ট এদিন এই মামলাকে মান্যতা দিয়েছে। এটা শুধু তৃণমূল কংগ্রেস বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের জয় নয়, এটা ভারতবর্ষের সংবিধানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর জয়। রাজ্যের যে ব্যক্তিগত অধিকার তার জয় হল।"