মালদা, 20 জানুয়ারি: আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় বিচারকের রায়ে খুশি নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সাজা ঘোষণার সময় তিনি ছিলেন হেলিকপ্টারে ৷ মালদায় পা রেখেই সাংবাদিকদের থেকে সাজার বিষয়ে জানতে পেরে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই ঘটনায় দোষীর ফাঁসি চেয়েছিলেন তিনি ৷
এই মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবীদের ভূমিকা নিয়েও এদিন তিনি প্রশ্ন তুলেছেন ৷ তাঁর সাফ কথা, রাজ্যের উপর এই মামলার তদন্তভার থাকলে অনেক আগেই সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির সাজা করিয়ে দিতেন তাঁরা ৷
মালদায় মমতা বলেন, "আমরা ফাঁসির দাবি করেছিলাম ৷ আমাদের হাতে এই মামলা থাকলে অনেক আগেই আমরা ফাঁসির অর্ডার করিয়ে দিতে পারতাম ৷"
সোমবার বেলা সোওয়া তিনটে নাগাদ মুর্শিদাবাদ থেকে হেলিকপ্টারে মালদায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তাঁকে স্বাগত জানাতে হেলিপ্যাডে উপস্থিত ছিলেন দুই মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, তজমুল হোসেন-সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ হেলিপ্যাডে নেমেই মাইক্রোফোন হাতে তুলে নেন মমতা ৷
তিনি বলেন, "এতক্ষণ হেলিতে ছিলাম বলে গোটা বিষয়টি শুনিনি ৷ আপনাদের কাছেই শুনলাম, আরজি কর কাণ্ডে ধৃতকে নাকি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে ৷ আমরা প্রথম দিন থেকেই ফাঁসির দাবি করে এসেছি ৷ আজও আমরা সেই দাবিতে অটুট ৷ কিন্তু আদালতের রায় নিয়ে কিছু বলার নেই ৷ আমি শুধু আমার এবং আমার দলের কথা বলতে পারি ৷ আমরা তিনটি কেসে 54 থেকে 60 দিনের মধ্যে ফাঁসির অর্ডার করিয়ে দিয়েছিলাম ৷ কিন্তু আমি জানি না এতবড় ঘটনায় ফাঁসির সাজা কেন হল না ৷ আমাদের সেই দাবি ছিল ৷ আমাদের হাতে কেসটা থাকলে আমরা অনেক আগেই ফাঁসির অর্ডার করিয়ে দিতে পারতাম ৷"
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "আমি জানি না আইনজীবীরা কীভাবে লড়াই করেছেন ৷ কী যুক্তি পেশ করেছেন ৷ এই মামলা আমাদের হাত থেকে ইচ্ছে করে কেড়ে নিয়ে সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে ৷ এই নরপিচাশদের চরমতম শাস্তি হওয়া উচিত ৷ আমি ডিটেইলস কিছু বলতে পারব না ৷ আমিও একজন আইনজীবী ৷ তবে ফাঁসি হলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম ৷"