রায়গঞ্জ, 1 জুলাই: চোপড়াকাণ্ড ঘিরে রাজনৈতিক তরজা ক্রমশ বাড়ছে ৷ সোমবারও বিরোধীরা এই ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করেছে ৷ যদিও তাজেমূল ওরফে জেসিবি তাঁদের দলের কেউ নয় বলে দাবি করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইলাল আগারওয়াল ৷ চোপড়ায় যুগলকে মারধরের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই জেসিবির নাম উঠে আসে ৷ এমনকী জেসিবি তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ট বলেও শোনা যায় ৷
ঘটনায় জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কানাইলাল আগারওয়াল বলেন, "লক্ষ্মীপুর গ্রামে জেসিবি আমাদের দল তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করে কিন্তু আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি জেসিবি দলের কোনও পদে নেই।" পাশাপাশি কানাইলাল আগারওয়াল আরও বলেন, "দলের তরফে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি ৷ নৃশংসভাবে ওঁদের মারাটা ঠিক হয়নি ৷ তার জন্য পুলিশ জেসিবির বিরুদ্ধে যা আইনগত ব্যবস্থা আছে তাই নেবে ৷"
তৃণমূল জেলা সভাপতি যাই বলুন, তারপরও বিতর্ক থামছে না ৷ এই ঘটনায় এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, "বারবার এই ধরনের ঘটনা প্রমাণ করছে যে, রাজ্য প্রশাসনের উপরে মানুষের আর কোনও ভরসাই নেই। এখানে মধ্যযুগীয় ব্যবস্থা চলছে। রবিবার চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান যে বক্তব্য রেখেছেন, এর থেকে তাঁর মানসিকতা স্পষ্ট। আসলে তৃণমূলের একাংশ মনে করে, ভারতবর্ষের মধ্যে একটা অন্য দেশ আছে ৷ সেখানে তাদের নিয়ম-নীতি চলবে। এটা চলতে পারে না ৷ দেশে সংবিধান আছে ৷ সেই সংবিধান অনুসারে দেশ চলবে।"
অন্যদিকে, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "এটা সালিশি সভাও নয়, তৃণমূলের গুন্ডা জেসিবি'র বিচার এবং নিজের হাতেই শাস্তি দানের সভা। মমতা জমানায় রাজ্যে আক্ষরিক অর্থেই বুলডোজার-বিচার হচ্ছে। তোলাবাজ তৃণমূল নেতাদের তোলা আদায়ের জন্য এমন অত্যাচার চলতে দেওয়া হবে কেন ?" রবিবার জেসিবিকে বাড়ির থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 323, 325, 354, 307 ও 34 ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।