কলকাতা, 13 মে: দেশের সঙ্গে রাজ্যজুড়ে সোমবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফা ৷ ঘটনাচক্রে এদিন ছিল রাজ্যে পালাবদলের অর্থাৎ বাংলায় তৃণমূল সরকারের ত্রয়োদশ বর্ষপূর্তি ৷ আর ত্রয়োদশ বর্ষপূর্তিতে লোকসভা নির্বাচনে নজরকাড়া সাফল্য পেতে চলেছে দল, এমনটাই মনে করছে তৃণমূল।
সোমবার সন্ধেয় বঙ্গে নির্বাচন শেষে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের শাসকদল ৷ শাসকদলের হয়ে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাবি করেন, তাঁদের দুই ক্রিকেটার প্রার্থী কীর্তি আজাদ এবং ইরফান পাঠান বড় ছক্কা হাঁকিয়েছেন নির্বাচনে। এমনকী তৃণমূলের দাবি অনুযায়ী ইউসুফ-ঝড়ে প্রাক্তন হতে চলেছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অর্থাৎ, রাজ্যের শাসকদলের দাবি অনুযায়ী বহরমপুরে অধীররাজ শেষের পথে ৷
এদিন সন্ধেয় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, "আজ ঐতিহাসিক 13 মে, 2011 সালে আজকের দিনে বাংলার মানুষ 34 বছরের বাম সরকারের বিরুদ্ধে এই দিনটিতেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আজও আটটি কেন্দ্রে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে মানুষ বুঝিয়ে দিল তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছেন।"
বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটলেও এদিন নির্বাচন মোটের উপর শান্তিপূর্ণ বলেই জানাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও সন্দেশখালিতে মেয়েদের টাকা দিয়ে অপমান করার জবাব মহিলারা ভোটের লাইনেই দিয়েছেন বলে দাবি চন্দ্রিমার। তিনি বলেছেন, "সন্দেশখালি নিয়ে যাবতীয় অপপ্রচারের জবাব, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টার বিরুদ্ধে জবাব এই নির্বাচনে দিয়েছেন মহিলারা।" শুধু অধীর চৌধুরী নয়, আজকের নির্বাচনে দিলীপ ঘোষেরও পরাজয় সুনিশ্চিত হয়ে গিয়েছে বলে দাবি চন্দ্রিমার।
আরও পড়ুন:
- সন্দেশখালিতে মহিলাদের বিক্ষোভে ব়্যাফ, টেনে হিঁচড়ে ভ্যানে তোলা হল আন্দোলনকারীদের
- তপ্ত পিচে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে সৌজন্য বিনিময়ে প্রতিপক্ষ কীর্তি-দিলীপ