আসানসোল, 22 ফেব্রুয়ারি: রাজধানীর রাজপথে 'গেরুয়া ঝড়' ৷ 1993 বিধানসভা ভোটের পর ফের 2025 ৷ দিল্লির মসনদ দখল করতে ‘মাত্র’ 27 বছর সময় নিয়েছে পদ্মশিবির ৷ শালিমার বাগ থেকে জেতা রেখা গুপ্তা’কে সুষমা স্বরাজের স্থলাভিষিক্ত করে ‘শাসন’ও শুরু করে দিয়েছে বিজেপি ৷ রাজনৈতিক মঞ্চে যুযুধান হলেও ‘শত্রু’পক্ষকে কটাক্ষ করছেন না শত্রুঘ্ন সিনহা ৷ ‘‘দিল্লির নব-নির্বাচিত সরকার ৷ এখনই কটাক্ষ বা সমালোচনা নয়, বরং তাদেরকে সুযোগ দেওয়া উচিত’’, এমনটাই মন্তব্য আসানসোলের সাংসদ তথা বলিউড তারকার ।
শুক্রবার আসানসোল গার্লস কলেজে একটি অনুষ্ঠানে শত্রুঘ্ন সিনহা দিল্লির নব-নির্বাচিত সরকার প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এখন শুভকামনা জানানোর সময় । এখন ওনাদের সুযোগ দাও, কাজ করতে দাও । কিন্তু হ্যাঁ, প্রচুর প্রতিশ্রুতি ছিল । কাজও প্রচুর আছে । মহিলাদের শুধু 2500 টাকা দিলেই হবে না, যমুনা নদীকে পরিস্কার করার কথা বললেই হবে না, অনেক দূর যেতে হবে । অনেক চ্যালেঞ্জ এদের সামনে, কঠিন কাজ । আমি মনে করি এনারা একে অন্যের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সমস্যার সমাধান করবে । কাউকে একক মাথা করবে না ।’’
অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মণীশ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈন, গেরুয়া ঝড়ে মুখ থুবড়ে পড়েছেন একের পর এক হেভিওয়েট প্রার্থী ৷ মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মার্লেনা’কে বাদ দিলে দিল্লির বেশ কিছু অংশে কার্যত ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ) ৷ যদিও বিদায়ী কেজরিওয়াল সরকারেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন শত্রুঘ্ন সিনহা । সরাসরি না-বলতে চাইলেও ইভিএম ও ভোট মেশিন নিয়েও খোঁচার সুর আসানসোলের সাংসদের গলায় । শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ‘‘কেজরিওয়াল যোগ্য ব্যক্তি ছিলেন । আমিও গিয়েছিলাম প্রচারে । বিশেষ করে অতিশীর জন্য গিয়েছিলাম । অতিশী বুদ্ধিমতি, সুন্দর ও যোগ্য মানুষ ছিলেন । তেমনিভাবেই কেজরিওয়ালের ক্ষমতা, প্রতিভা নিয়েও কোনও প্রশ্ন উঠতে পারে না ।’’