পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

কপালে তিলক কেটে স্কুলে যাওয়ায় বকাবকি, স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে ক্ষমা চাইলেন শিক্ষিকা - Tilak in School Raises Controversy

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 26, 2024, 10:46 PM IST

Updated : Jun 26, 2024, 10:59 PM IST

Tilak Controversy in School: অন্যান্য দিনের মতোই মঙ্গলবার কপালে তিলক কেটে স্কুলে গিয়েছিল রত্না ৷ কিন্তু দিদিমণি বারণ করায় তা বাড়িতে এসে জানায় সে ৷ এরপরই বাধে বিপত্তি ৷ বুধবার স্কুল খুলতেই ধুন্ধুমারকাণ্ড ৷

Siliguri News
শিক্ষিকাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অভিভাবকরা (নিজস্ব ছবি)

শিলিগুড়ি, 26 জুন:মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের পর এবার ঘটনাস্থল শিলিগুড়ি ৷ স্কুলে তিলক কেটে যাওয়ায় তিরস্কারের অভিযোগ উঠল স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে । এই ঘটনায় পালটা স্কুলে গিয়ে বুধবার বিক্ষোভ দেখালেন পরিবার ও এলাকাবাসীরা ৷ এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায় । পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চাইলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ।

তিলক কেটে ছাত্রীকে বকাবকি করার অভিযোগ উঠল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে (ইটিভি ভারত)

ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়া ব্লকের কাওয়াখালি এলাকার ঠিকনিকাটা জুনিয়র হাইস্কুল ৷ মঙ্গলবার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রত্না বর্মন কপালে তিলক কেটে স্কুলে গিয়েছিল ৷ অভিযোগ, সেই কারণে তাকে তিরস্কার করে বকাবকি করেন স্কুল শিক্ষিকা শিউলি পাল ৷ বিষয়টি বাড়ি গিয়ে পরিবারের লোকদের জানায় ওই স্কুল ছাত্রী ।

এরপর বুধবার ফের একইভাবে কপালে তিলক কেটে স্কুলে যায় ওই ছাত্রী । এদিনও ফের তাকে বকাবকি করা হয় বলে অভিযোগ । এরপরই পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীরা স্কুলে চড়াও হয়ে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষিকাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ৷ পরে শিক্ষিকা ক্ষমা চাইলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ।

বিষয়টি নিয়ে অভিভাবক মলয় সাহা বলেন, "স্কুল ছাত্রী কপালে তিলক কেটে যাওয়ার সঙ্গে স্কুলের পঠনপাঠনের কী সম্পর্ক ? তিলক কাটা তার ব্যক্তিগত অধিকার । এতে স্কুল শিক্ষিকার প্রতিবাদ করার কোনও মানেই হয় না ৷ সেজন্য আমরা প্রতিবাদ জানাই ৷ পরে তিনি ক্ষমা চান ।"

ছাত্রী রত্না বর্মনের বক্তব্য, "আমাকে তিলক না কেটে স্কুলে আসতে বলেছিলেন শিক্ষিকা । সেটা আমি বাড়িতে জানাই । এরপরেই সবাই এসেছে ।" অভিযুক্ত শিক্ষিকা শিউলি পালের কথায়, "আমি কোনওরকম বকাবকি বা তিরস্কার করিনি ৷ বাচ্চারা তিলক নিয়ে হাসাহাসি করছিল ৷ সেজন্য আমি বকা দিয়েছিলাম । এখন সবাই চাপ দিচ্ছে । সেজন্য আমি পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্ষমা চেয়েছি । এছাড়া আমার আর করার কিছু ছিল না ।"

প্রসঙ্গত, 14 জুন মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ গার্লস হাইস্কুলে কপালে টিপ পরে আসা যাবে না বলে ফতোয়া জারি করেন বলে অভিযোগ ওঠে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ৷ সেই ঘটনায় অভিভাবকরা স্কুলের ভিতরে কীর্তন করে স্লোগান দিয়ে সরব হন ৷ ঘেরাও করা হয় প্রধান শিক্ষিকাকে ৷

Last Updated : Jun 26, 2024, 10:59 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details