ট্যাব কেলেঙ্কারিতে শিলিগুড়িতে পুলিশি অভিযান, গ্রেফতার আরও তিন
ট্যাব কেলেঙ্কারিতে শিলিগুড়িতে দুটি পৃথক অভিযানে এক দম্পতি-সহ গ্রেফতার তিন ৷ শিলিগুড়িতে অভিযান চালায় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা, পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ ৷
ট্যাব কেলেঙ্কারিতে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার তিনজন (ইটিভি ভারত)
শিলিগুড়ি, 25 নভেম্বর: ট্যাব কেলেঙ্কারিতে শিলিগুড়ি থেকে ফের গ্রেফতার এক দম্পতি সহ তিনজন। শনিবার রাতে ট্যাব জালিয়াতি কাণ্ডে শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি ও মাটিগাড়া এলাকা থেকে আরও তিন জনকে যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট, বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়ারি থানার পুলিশ।
শনিবার রাত দু’টো নাগাদ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এনজেপি থানার নৌকাঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়েছে আজিবুল হুসেন নামে এক যুবককে। অন্যদিকে, মাটিগাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে নজরুল ইসলাম এবং জিমাতুন খাতুন নামে ওই দম্পতিকে। এই বিষয়ে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর বলেন, "আমরা তদন্তে সংশ্লিষ্ট থানাকে সহযোগিতা করেছি। তিনজন গ্রেফতার হয়েছে। সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজিবুল হুসেনের বোনের অ্যাকাউন্টে দুর্গাপুজোর সময়ে ঢুকেছিল স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ ট্যাব কেনার টাকা। গ্রেফতার হওয়ার পর ধৃতের বাবার দাবি, "পুজোয় মেয়ের এক বন্ধু পোশাক কিনতে ওই টাকা পাঠিয়েছিল। মেয়ের বন্ধু ইসলামপুর থেকে ওই টাকা পাঠিয়েছিল। ছেলের কোনও দোষ নেই।" যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ পুলিশ।
ধৃতের বোন কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ধৃত আজিবুলের ফোন নম্বরের সঙ্গে লিঙ্ক করা ছিল। তাই বোনের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলেও দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজ্যের ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনার সঙ্গে ওই যুবকের যোগ থাকতে পারে, মনে করছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে, নজরুল এবং জিমাতুন সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের বছর দুয়েকের একটি ছেলেও রয়েছে। পেশায় দুজনেই দিনমজুর। পুজোর সময় ওই দম্পতির জিরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্টে 10 হাজার করে টাকা ঢোকে। কী ভাবে এই টাকা এল, তারা জানে না বলেও দাবি করেছেন। দম্পতি নিজেদের ব্যাঙ্কের একাউন্ট ভাড়া দিয়েছিল কিনা, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
রবিবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি জেলা আদালত ও শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তুলে কলকাতা এবং মেদিনীপুরে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে যায় পুলিশ। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের অধীন একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য 10 হাজার টাকা দেয়। কিন্তু, সেই টাকা নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে যাওয়ার বদলে অন্যত্র যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের একাধিক জেলায়। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এর আগে শিলিগুড়ি থেকে এক সরকারি স্কুলের শিক্ষক-সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।