বহরমপুর, 31 জানুযারি: আগামিকাল ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা কর্মসূচিতে বহরমপুর আসছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। কিন্তু মুর্শিদাবাদের বিখ্যাত ছানাবড়া খাওয়া হবে কি না তা এখনও ঠিক হয়নি । আজ মুর্শিদাবাদে প্রাশাসনিক সভা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ তার জেরেই অনুমতি মেলেনি রাহুলের সভার ৷ কাঁটছাট করতে হয়েছে কর্মসূচিরও ৷ তাই হয়ত টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে মিষ্টির দোকানে বসে রাহুলের ছানাবড়া খাওয়া হচ্ছে না। তাতেই আক্ষেপের সুর ব্যবসায়ী অরুণের গলায় ৷
স্মৃতি উসকে মিষ্টি ব্যবসায়ী অরুণ দাস বলেন, "প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাহুল গান্ধি দোকানে এসেছিলেন। অধীরদাও ছিলেন। প্রথমবার ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। দাদার কথামতো ছোট সাইজের ঘিয়ে ভাজা ছানাবড়া খাইয়েছিলাম সেবার। পরের বার ন'কেজি ওজনের ছানাবড়া তুলে দিয়েছিলাম রাজীব পুত্রের হাতে।” সেই আবেগ ঠিকরে বেরোচ্ছিল অরুণবাবুর গলায়। বলেন, “এবার আসলে হ্যাটট্রিক হত। সেই সুযোগ হয়ত হবে না। তাই দশ কেজি ওজনের ছানাবড়া তৈরি করে রেখেছি। সুযোগ মিললে রাহুল গান্ধির হাতে দেব।" জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, "মিষ্টির দোকানের মালিক এসেছিলেন। কিন্তু এবার বোধহয় ছানাবড়া খাওয়া হবে না।"
সালটি ছিল 2009 ও 2014 ৷ পরপর দু’বার লোকসভা ভোটের প্রচারে বহরমপুর এসেছিলেন রাহুল গান্ধি। তারমধ্যে একবার বহরমপুরে এফ ইউ সি মাঠে জনসভা ছিল তাঁর। দু’বারই বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজ মোড়ের মিষ্টির দোকানে বসে ছানাবড়া খেয়েছিলেন । সেই সময়ে রাহুল গান্ধির পাশে ছিলেন তৎকালীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা জঙ্গিপুরের সাংসদ প্রণব মুখোপাধ্যায়। সেই ছবি আজও মিষ্টির দোকানের দেওয়ালে টাঙানো হয়েছে। এমনকী প্রণব মুখোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধি যে প্লেট গ্লাস ব্যবহার করেছিলেন দোকানের কাঁচের আলমারিতে আজও তা শোভা পাচ্ছে ৷