কলকাতা, 28 জুন:কোচবিহারে বিজেপি নেত্রীর উপর অত্যাচারের ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্তকারী দল গঠন করল বিজেপি ৷ শুক্রবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, শুক্রবার এই দল ঘটনাস্থলে যাবে ৷ এদিকে, এই ঘটনায় তদন্তকারী দল পাঠানোর আর্জি জানিয়ে মহিলা কমিশন, সংখ্যালঘু কমিশন ও মানবাধিকার কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷
বিজেপি করায় কোচবিহারের গেরুয়া শিবিরের মহিলা মোর্চার নেত্রীকে নগ্ন করে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে । আর এই ঘটনার সত্যাসত্য খতিয়ে দেখার জন্য রাজ্যে বিজেপির পক্ষ থেকে সাত সদস্যের একটি তদন্তকারী দল তৈরি করা হয়েছে । এই দলের নেতৃত্ব দেবেন আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ।
সাত সদস্যের দলে অগ্নিমিত্রা পাল ছাড়াও রয়েছেন বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি ফাল্গুনী পাত্র, শশী অগ্নিহোত্রী, বিধায়ক মালতী রাভা রায়, মাফুজা খাতুন ও সাংসদ জয়ন্ত রায় । শনিবারই ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেবে এই দল । ঘটনাস্থলে গিয়ে 'নির্যাতিতা'র সঙ্গে কথা বলে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে দ্রুত রাজ্যে সভাপতির কাছে রিপোর্ট জমা দেবে তারা ।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মহিলা কমিশন-সহ সংখ্যালঘু কমিশন এবং মানবাধিকার কমিশনকে চিঠি লিখে ঘটনাস্থলে তদন্তকারী দল পাঠানোর আর্জি জানান । শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনাকে 'বর্বরোচিত' বলে আখ্যা দিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার একটা কদর্য রূপ এই ঘটনা ৷ এহেন ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রয়োজন । আর তারপরেই এবার রাজ্য বিজেপির তরফেও এই দল গঠন করার নির্দেশ দিলেন সুকান্ত মজুমদার ।
বৃহস্পতিবার কোচবিহার জেলার মাথাভাঙার ঘোকসাডাঙা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে । স্থানীয় মহিলা বিজেপি কর্মী যখন মাঠে যান তখন তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসের চারজন মহিলা কর্মী ঘিরে ধরেন বলে অভিযোগ । আরও অভিযোগ, এরপর ওই বিজেপি কর্মীর শাড়ি খুলে দেওয়া হয় এবং তাঁকে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। তারপর তাঁকে মারধর করা হয় এবং বিবস্ত্র অবস্থায় তাঁকে টেনে হিঁচড়ে তাঁর বাড়িতে ফেলে দিয়ে আসা হয় । পুলিশের কাছে দায়ের করা এফআইআর-এ এই বয়ান দিয়েছেন অভিযোগকারিণী ৷ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেফতার করা হয় । আক্রান্ত কর্মীকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।