কলকাতা, 13 ফেব্রুয়ারি: মঙ্গলবার বিধানসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি রাজ্যে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ করে বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী সচরাচর সত্যি কথা বলেন কি না, জানি না । তিনি মিথ্যে কথা বলতেই অভ্যস্ত । বিজেপির ঘোষিত অবস্থান আছে ৷ বিজেপি সরকার গড়লে 'মিথ্যাশ্রী' চালু করা হবে ৷ আর প্রথম পুরস্কার মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হবে ।"
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, "গতকাল আরামবাগে 5 লক্ষ চাকরির মিথ্যাচার করেছেন উনি ৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন বিরোধীরা কোর্টে গিয়েছে তাই চাকরি দেওয়া যাচ্ছে না। পাবলিক সার্ভিস কমিশনে মামলা নেই । পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডেও কোন মামলা নেই । স্টাফ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মামলা নেই । এসএস সির কোনো মামলা নেই । প্রাইমারিতে কিছু মামলা আছে, কিন্তু তাও প্রাইমারি টেটে কোনো ইন্টারলোগেটারি মামলা নেই । শেষ এসএস সির নোটিফিকেশন হয়েছে 2017 সালে । 22 সালে ফলাফল বের করা হয়েছে ৷ কিন্তু কোনো চাকরি হয়নি । 2023 সালে 500 টাকা ফিজ নিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু এখনও ফলাফল প্রকাশ করা হল না । পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড তুলে দেওয়া হয়েছে । গ্রিন পুলিশ ও ভিলেজ পুলিশ নিয়োগ করেছেন কম বেতন দিয়ে তাতে ওদের সংসারও চলে না । চাকরি তো ভাষণে হয় না । চাকরি তো আপনাকে দিতে হবে । এই বাজেটে সেই নিয়ে কোনো কথা না অর্থ বরাদ্দ করা নেই । দু'কোটি যুবক যুবতীদের কত বড় ধাপ্পাবাজি দেওয়া হচ্ছে ।"
বিধানসভা থেকে সোশাল মিডিয়ায় লাইভ করেন বিরোধী দলনেতা ৷ সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেন, বগটুই থেকে সন্দেশখালির ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর একটা বিবৃতি কি আশা করতে পারে না বিজেপি এবং জনগণ । এর পাশাপাশি তিনি অভিযোগ তোলেন যে, এবারের বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের কোনো বক্তৃতা ছিল না । এর আগে মাত্র দু'বার এমন ঘটনা ঘটেছিল দেশে । করোনার সময়ও দূরত্ব বজায় রেখে রাজ্যপালের বক্তৃতা হয়েছিল । এই প্রথমবার রাজ্যপালের বক্তব্য ছাড়াই বাজেট অধিবেশন হল । এমনকী এবার বিরোধীরাও ভালো করে বক্তব্য রাখতে পারেনি বিধানসভায় বলে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি ৷
বিরোধী দলনেতার কথায়, "মুখ্যমন্ত্রী 50 দিনের কাজ দেবেন বলেছেন । কিন্তু বাজেটে এই নিয়ে কোনো টাকা বরাদ্দ করা হয়নি । নির্বাচনের জন্য মানুষের কাছে এই মিথ্যাচার করা হচ্ছে । বিজেপি চায় কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিকে তাঁদের মহিলা আধিকারিকদের নিয়ে দল গঠন করে অবিলম্বে সন্দেশখালির ঘটনায় পদক্ষেপ করুক । যতদিন যাবে ততো প্রমাণ লোপাট হতে থাকবে । নাহলে অবিলম্বে জাতীয় মহিলা কমিশনকে দিয়ে তদন্ত করিয়ে সিবিআইকে দিয়ে দেওয়া হোক ।"