হিঙ্গলগঞ্জ, 21 জুন: জরাজীর্ণ স্কুলঘর ৷ খসে পড়ছে চাঙড় ৷ ফাটল ধরেছে ছাদেও । যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় বিপদের ঘটতে পারে ! তবে বিপদ মাথায় নিয়েই স্কুলে চলছে পড়াশোনা । আর তার জন্যে অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছে পড়ুয়ারা । এক হাতে বই । অন্য হাতে ছাতা নিয়ে পড়াশোনায় ব্যস্ত কচিকাঁচারা । হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি পুকুরিয়া আদিবাসী প্রাথমিক স্কুলে এলেই চোখে পড়বে এমন আশ্চর্য দৃশ্য । কিন্তু এমন দশা কেন ?
প্রধান শিক্ষকের দাবি, "স্কুল সংস্কারের জন্য বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি । তাই অগত্যা ছাতাতে ভরসা পড়ুয়াদের ।" জানা গিয়েছে, এলাকায় একমাত্র আদিবাসী স্কুল হল হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি এলাকার এই স্কুলটি ৷ অন্য এলাকায় আদিবাসী স্কুল রয়েছে । কিন্তু সেখানে যেতে হলে অন্তত কয়েক কিলোমিটার হেঁটে পৌঁছতে হবে পড়ুয়াদের । তাই হাতের কাছে হওয়ায় পুকুরিয়ার এই আদিবাসী স্কুলটিতেই পড়াশোনা করেন জনা পঞ্চাশেক পড়ুয়া ।
স্কুলটির বেহাল অবস্থা জরাজীর্ণ ক্লাসঘরের দিকে চোখ রাখলেই স্পষ্ট হয় । সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন আগে স্কুলের একটি অংশে ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়ে ৷ বাকি অংশও বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে । তাও যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে । বৃহস্পতিবারও স্কুল চলাকালীন সিমেন্টের চাঙড় ভেঙে পড়ে । অল্পের জন্য রক্ষা পায় ছাত্র-ছাত্রীরা । তারপরেও এক প্রকার প্রাণ হাতে করেই সেখানে পড়াতে হচ্ছে শিক্ষকদের ।