কলকাতা, 7 নভেম্বর: পরীক্ষায় দুর্নীতি রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিল রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় ৷ ঠিক হয়েছে এবার থেকে উত্তরপত্রে কোনও পরীক্ষার্থীর নাম লেখা থাকবে না ৷ তার বদলে থাকবে শুধুমাত্র একটি বারকোড ৷ এর পাশাপাশি যদি টোকাটুকি বা অনিয়ম প্রমাণিত হয়, তাহলে তৎক্ষণাৎ সেই উত্তরপত্র বাতিল করা হবে ৷ এমনকী পরীক্ষার হলেও হবে লাইভ স্ট্রিমিং ৷
কয়েকদিন আগে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী । সেখানে জুনিয়র চিকিৎসকরা দাবি করেন, চিকিৎসকদের যে সমস্ত পরীক্ষা দিতে হয় তাতে অনেক অস্বচ্ছতা থাকে। তার সুযোগে অনেক অযোগ্য পরীক্ষার্থী পাশ করে যান। নিয়ম মেনে পরীক্ষা দিতে হলে তাঁদের পক্ষে পাশ করা সম্ভব নয়। সেই বৈঠকে পরীক্ষায় স্বচ্ছতা রাখতে কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। স্পষ্টই জানান, পরীক্ষায় নকল করার সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।
স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশিকা (ছবি সৌজন্য: স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়) এবার প্রকাশিত হল নির্দেশিকা ৷ তাতে জানানো হয়েছে-
- উত্তরপত্রে কোনও পরীক্ষার্থীর নাম লেখা থাকবে না
- পরীক্ষার্থী পরিচয়ের জন্য থাকবে বারকোড
- পরীক্ষা হবে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে
- প্রতিটি পরীক্ষা হলের ভিতর থাকবে সিসি ক্যামেরা
- পরীক্ষার সম্পূর্ণ লাইভ স্ট্রিমিং হবে
- প্রতিদিনের পরীক্ষার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ 3 দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে ৷
- পরীক্ষা কেন্দ্রেে পরীক্ষার্থীরা কী কী সঙ্গে নিয়ে ঢুকছেন তাও এবার থেকে দেখা হবে
- মোবাইল বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক যন্ত্র নিয়ে প্রবেশ করলে পরীক্ষা হলেই তাঁর উত্তরপত্র বাতিল করে দেওয়া হবে
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট-এর তরফে পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছিল ৷ অভিযোগ শুনে রীতিমতো অবাক হতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে ৷ বৈঠকে জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেছিলেন, "অনেকের খাতা যদি ঠিক করে দেখা হয়, তাহলে দেখা যাবে 10 পাওয়ারও যোগ্য নন তাঁরা ৷" সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন পরীক্ষা হলে টোকাটুকি করলে তখনই উত্তরপত্র বাতিল করা হবে ৷ সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা এবার প্রকাশ করল স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় ৷ আগামী মাস থেকেই জুনিয়র চিকিৎসকদের পরীক্ষা শুরু হবে ৷