কলকাতা, 3 জুলাই:শহরের খানা-খন্দ ভরা রাস্তা নিয়ে আগেই সবর হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বিশেষত, উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে রাজ্যের একাধিক রাস্তার বেহাল দশার কথা উল্লেখ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তারপরই নড়েচড়ে বসে রাজ্য-প্রশাসন ৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবার রাজ্যজুড়ে শুরু হতে চলেছে সড়ক সমীক্ষা ৷ নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন রাস্তার অবস্থা দেখে সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরি করা হবে ৷
ওই সমীক্ষা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যের একাধিক রাস্তার জিআইএস ম্যাপিং থেকে শুরু রাস্তার হালহকিকত তুলে ধরা হবে ৷ রাস্তা প্রস্তুত করার জন্য যে সমস্ত ঠিকাদার সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে, সেই সব শর্তাবলী মানা হচ্ছে কি না; তাও খতিয়ে দেখা হবে ৷ যে সমস্ত ঠিকাদারি সংস্থা নিয়ম মানছে না তাদের চিহ্নিতকরণের কাজও চলছে ৷
এই প্রসঙ্গেই রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ রাজ্য সরকারের কাছে রাস্তা তৈরির জন্য আবেদন জানিয়েছেন। আবার 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী'-র হেল্পলাইনেও রাস্তা নিয়ে বিভিন্ন দাবিদাওয়া জমা পড়ে। এই পরিস্থিতিতে বেহাল রাস্তা সম্পর্কিত একটি তালিকা তৈরি করতে চায় রাজ্য সরকার ৷ যাতে খারাপ রাস্তাগুলি চিহ্নিত করে মেরামতির জন্য পদক্ষেপ নেওয়া যায় ৷
তিনি আরও বলেন, "বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ঠিকাদার রাস্তা তৈরির পর সেখান থেকে চলে যায় ৷ সেই সমস্ত রাস্তার 5 বছরের জন্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকে সংস্থার ৷ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে কি না, সেই বিষয়গুলির উপর নজর দেওয়া হবে । তরপর রাজ্য সরকারও এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখবে ৷"
প্রধানমন্ত্রীর গ্রাম সড়ক যোজনার বরাদ্দ দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রাজ্যে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লেখার পরেও টাকা পায়নি রাজ্য সরকার। ফলে এই অবস্থায় কেন্দ্রের উপর ভরসা না-করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের মত করে পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রাম ও শহরের বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়নের কাজ করছেন। নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পথশ্রী প্রকল্পে 12000 কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সেই কাজের মধ্যেই রাজ্যে সামগ্রিকভাবে রাস্তার হাল হাকিকত জানতে চাইছে রাজ্য সরকার ৷