আসানসোল, 2 ফেব্রুয়ারি: একদিকে প্রচন্ড ঠান্ডা, অন্যদিকে ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে গোটা শিল্পাঞ্চল। আর এরই মাঝে আজ থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার পরীক্ষার এগিয়ে আসায় অসুবিধায় পড়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। শীতে জুবুথুবু হয়ে ঘন কুয়াশার মধ্যেই সেন্টারে পৌঁছল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা।
একদিকে জীবনের প্রথম বোর্ডের পরীক্ষা তারমধ্যে এত সকালে পরীক্ষার সময় এগিয়ে আসায় মানসিকভাবে চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের ৷ আসানসোলের মহিশীলাতে সেন্টার পড়া আসানসোল মহিলা কল্যাণ স্কুলের এক ছাত্রীর মা কাজি লিপি জানান, পরীক্ষায় এগিয়ে আসায় সমস্যায় পড়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। একেই রাত করে তারা পড়াশোনা করছে। সকালে ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, সকালে পরীক্ষার আগে আরেকবার বইয়ে চোখ বুলিয়ে নেওয়ার যে বিষয় থাকতো সেটার সুযোগ হয়ে উঠছে না। অন্যদিকে রাস্তায় ঘন কুয়াশার কারণে প্রচণ্ড ভয় লাগছে আসতে। গাড়ি চালক মানস আচার্য, রবি দাসরা জানালেন, রাস্তায় কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না। হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে ৷ দুর্ঘটনার প্রচণ্ড ভয় থাকছে। কোনওভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আসা হয়েছে সেন্টারে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে। তার মধ্যে রোদের দেখা নেই। সারাদিনই মেঘাচ্ছন্ন ছিল আকাশ। শুক্রবার সকালের ছবিটাও একই রকম। গোটা শিল্পাঞ্চলই কার্যত কুয়াশায় ঢাকা ৷ দৃশ্যমানতা 50 মিটারেরও কম। হেডলাইট জ্বালিয়ে চালাতে হচ্ছে গাড়ি । অন্যদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষা নির্দিষ্ট সময় থেকে অনেকটাই এগিয়ে যাওয়ায় খুব সকালে বেরোতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। কিন্তু রাস্তায় নেমেই কুয়াশার বাধার মুখে পড়তে হয়। খুব আস্তে আস্তে গাড়ি চালাতে হয়েছে বলে জানাচ্ছেন চালকরা। হেডলাইট জ্বালিয়ে আসতে হয়েছে। দৃশ্যমানতা কম থাকায় দুর্ঘটনারও ভয়কেও এড়িয়ে যাওয়া যায় না ৷
পাশাপাশি, একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে দুর্গাপুরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদেরও ৷ দুর্গাপুর মহকুমার সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে সকাল থেকেই পরীক্ষার্থীদের ভিড়। দুর্গাপুর মহকুমায় মোট পরীক্ষা কেন্দ্র 33টি ৷ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা 11 হাজার 344 জন। কোথাও পরীক্ষার্থীদের গোলাপ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পুলিশ কর্মীরা আবার কোথাও জলের বোতল, গোলাপ ফুল আর পেন দিয়ে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্র যুবরা। ভিড়িঙ্গি টিএন উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে এসে এক পরীক্ষার্থী তিয়াশা ব্যানার্জি বলেন, "জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা ভয় একটু লাগছে। তবে পরীক্ষা ভালই হবে। সময়টা দু'ঘণ্টা এগিয়ে আসায় এবং কুয়াশার জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে সমস্যা হয়েছিল।"