নয়াদিল্লি, 20 জুন: পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত টি/এ 912 লেটার জারি করা যাবে না, জানাল শিয়ালদা রেলওয়ে ডিভিশন ৷ স্টেশন মাস্টার এই অথরিটি লেটার বা কাগুজে সিগন্যাল ট্রেনের চালককে জারি করে থাকেন ৷ যাতে অটোমেটিক বা স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল খারাপ থাকলেও চালক নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে লাল সিগন্যাল পেরিয়ে যেতে পারেন ৷
এদিন শিয়ালদা ডিভিশনের (পূর্ব রেলওয়ে) সিনিয়র ডিভিশনাল অপারেশনাল ম্যানেজার একটি বিবৃতি জারি করেন, "জিএম (জেনারেল ম্যানেজার), পিসিএসও (মুখ্য সুরক্ষা আধিকারিক) এবং অন্যান্য পিএইচওডি-দের (অন্য দফতরের মুখ্য আধিকারিক) মধ্যে গতকাল একটি বৈঠক হয় ৷ তাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত টি/এ 912 জারি করার প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে ৷ যাঁরা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের এই নির্দেশ কঠোরভাবে পালন করতে হবে ৷ কোনও রকম বিচ্যুতি হলে তা অত্যন্ত কড়াভাবে বিবেচনা করা হবে ৷"
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্তে এই অথরিটি লেটার বা কাগুজে সিগন্যাল জারি করা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ 17 জুন ভোর 5.50 মিনিট থেকে রাঙাপানি (RNI) এবং চটের হাট (CAT) স্টেশনের মধ্যে কাজ করছিল না স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ৷ এই অবস্থায় রাঙাপানির কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এবং পণ্যবাহী ট্রেনের চালককে কাগুজে সিগন্যাল বা টি/এ 912 দিয়েছিলেন ৷ সেই অথরিটির জোরেই দু'টি ট্রেন একই লাইনে অটোমেটিক লক সিস্টেম বন্ধ থাকা সত্ত্বেও চলছিল ৷
ওই মালগাড়ি ট্রেনটি নিয়ম না মেনে দ্রুত গতিতে চলছিল ৷ ট্রেনটি একই লাইনে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে পিছন দিক থেকে জোরে ধাক্কা মারে ৷ তার অভিঘাত এতটাই ছিল যে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের শেষের দিকের কয়েকটি বগি মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপর উঠে যায় ৷ মৃত্যু হয় মালগাড়ি ট্রেনটির চালক অনিল কুমারের ৷ এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে 10 জনের ৷ আহত 40 ৷ এই ঘটনার পরে রেলওয়ে বোর্ডের আধিকারিক এবং লোকো পাইলট ইউনিয়নদের মধ্যে টি/এ 912 জারি করা নিয়ে বিতর্ক বাধে ৷