পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

ভাঙন আতঙ্কে জর্জরিত, কংক্রিটের নদী বাঁধের দাবি গ্রামবাসীদের - Erosion Fear - EROSION FEAR

Erosion Fear in South 24 Parganas: বৃষ্টিতে দক্ষিণ 24 পরগনার একাধিক নদী বাঁধের বেহাল দশা । গ্রামে প্রবেশ করতে শুরু করেছে নোনা জল ৷ আতঙ্কে দিন কাটছে উপকূল তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের ৷ বেশকিছু এলাকায় ইতিমধ্যে নদী বাঁধে ধস নেমেছে ৷ তলিয়ে গিয়েছে রাস্তা ৷

Erosion Fear
নদী বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে (নিজস্ব ছবি)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 26, 2024, 4:59 PM IST

কাকদ্বীপ, 26 অগস্ট: নিম্নচাপ এবং পূর্ণিমার ভরা কোটালের সঙ্গে দোসর হয়েছে ঝোড়ো হাওয়া । এর জেরে উপকূলবর্তী এলাকার মাটির নদী বাঁধের বেহাল অবস্থা । কাকদ্বীপ মহকুমার নামখানা, সাগর, পাথর প্রতিমা, মৌসুনি দ্বীপের বিস্তীর্ণ এলাকার নদী বাঁধে ইতিমধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে । নামখানা ব্লকের নারায়ণগঞ্জ ও পাথরপ্রতিমা ব্লকের গোবর্ধনপুর এলাকায় নদী বাঁধে ভয়াবহ ধস নেমেছে । ইতিমধ্যেই নদীর নোনা জল ঢুকতে শুরু করেছে গ্রামে । তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা ৷

কংক্রিটের নদী বাঁধের দাবি গ্রামবাসীদের (ইটিভি ভারত)

স্থানীয় বাসিন্দা গণেশ দাসের কথায়, "নিম্নচাপ এবং কোটালের জোড়া ফালায় এলাকায় ইতিমধ্যে প্রবেশ করতে শুরু করেছে নদীর নোনা জল ৷ বাড়ির সামনে নোনা জল চলে এসেছে । প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে ৷ তার জেরে মাটির নদী বাঁধেরও অবস্থা খারাপ । বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও রকম সুরাহা মেলেনি ৷ আমরা এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই ।"

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত ৷ আর তার জেরে নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে । ইতিমধ্যে ডায়মন্ড হারবারের রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কৃষ্ণরামপুর এলাকায় হুগলি নদীতে ভয়াবহ নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে । নদী ভাঙনের জেরে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখছেন এলাকাবাসীরা । আতঙ্কে বাঁধের উপর ভিড় জমিয়েছেন বাসিন্দারা ।

ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দক্ষিণ 24 পরগনার বেশকিছু নদী বাঁধে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতির কাজ শুরু করা হয়েছে । জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেচ দফতরের আধিকারিকদের সতর্ক করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূল তীরবর্তী এলাকায় সাধারণ মানুষদের জন্য মাইকিং করা হচ্ছে । সোমবার এবং মঙ্গলবারও এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গে জারি থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর । এরপর থেকেই আতঙ্ক আরও গ্রাস করতে শুরু করেছে উপকূল তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের ।

নদী বাঁধ সারাইয়ের কাজ চলছে (নিজস্ব ছবি)

হুগলি নদীর জোয়ারের জল কৃষ্ণরামপুর এলাকায় প্রবেশ করেছে ৷ এর ফলে বেশ কয়েক কিলোমিটার মাটির রাস্তা ধসে খালে তলিয়ে গিয়েছে ৷ যার জেরে হাঁড়া গ্রামের সঙ্গে কৃষ্ণরামপুর গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে । এ বিষয়ে কৃষ্ণরামপুর গ্রামের সদস্য বাপন হালদার বলেন, "গত চার বছর ধরে হুগলি নদীতে এই অংশে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিচ্ছে । বারবার বিভিন্ন দফতরের কাছে আমরা এই নদী বাঁধ সংস্কারের কথা বললেও কোনও রকম কাজ হয়নি । বর্ষা এলে যৎসামান্যভাবে এই বাঁধ মেরামতি করা হয় ৷ কিন্তু প্রবল বৃষ্টি এবং হুগলি নদীর জোয়ারের জলে এই বাঁধ প্রতিবছর বর্ষার সময় ভেঙে যায় এবং গ্রাম ভেসে যায় ।"

মাটির রাস্তা ধসে খালে তলিয়ে গিয়েছে (নিজস্ব ছবি)

তাঁর সংযোজন, "এবারেও একই সমস্যা সম্মুখীন হতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের ৷ এবারও আমরা জানিয়েছি ৷ কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের এই কষ্টের কথায় কর্ণপাত করতে রাজি নয় । বেশ কয়েকদিন ধরে যদি এইরকম বৃষ্টি এবং পূর্ণিমার ভরা কোটাল চলতে থাকে, তাহলে গ্রাম তলিয়ে যাবে হুগলি নদীতে । স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধই একমাত্র সমাধান সূত্র ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details