কলকাতা, 12 অগস্ট: আরজিকর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়ের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ জানতে পারলো তার নম্বরটি নথিভুক্ত ছিল। দীর্ঘক্ষণ ধরে তাদের মধ্যে কথোপকথন হয়েছিল। এছাড়াও, তদন্তকারীদের অভিযোগ যে, সঞ্জয় ওই নির্যাতিতা-সহ অন্যান্য মহিলা চিকিৎসকদেরও উত্তক্ত করত।
এবার এমনই এক অন্য মহিলা চিকিৎসককে আজ লালবাজারে ডেকে দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। এদিন, ওই মহিলা চিকিৎসকের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ । ইতিমধ্যেই হাসপাতালের মোট 30টি সিসিটিভি ক্যামেরা বাজেয়াপ্ত করে তদন্ত চালাচ্ছে গোয়েন্দা বিভাগ।
ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে যে সিট গটন করা হয়, তাতে প্রথম দফায় 8 জন সদস্য ছিল। এবার, তার সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে 28 জন করা হল। এর মধ্যে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের একাধিক উচ্চপদস্থ গোয়েন্দা কর্তারা। এর পাশাপাশি, চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং তাদের বয়ান নথিভুক্ত করেন তদন্তকারীরা।
সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেই আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার আরজি কর হাসপাতালের এক পদস্থ কর্তা ব্যক্তিকে ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার । জানা গিয়েছে, এই পদস্থ চিকিৎসকই হাসপাতালের তরফ থেকে প্রথম ওই নির্যাতিতার বাড়িতে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানিয়েছিলেন । আগামীকাল ওই পদস্থ চিকিৎসকের বয়ান রেকর্ড করবেন তদন্তকারীরা । কোথা থেকে ওই চিকিৎসক আত্মহত্যার তত্ত্বটি সামনে আনলেন, তা যাচাই করতে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে লালবাজারে । এছাড়াও, হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকেও লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয় ।
সোমবার বিকেলে কলকাতা পৌঁছে বিমানবন্দর থেকেই সোজা লালবাজারে যান জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল ৷ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ডাক্তারি পড়ুয়া তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই এখানে এসেছেন দুই সদস্যের দল ৷ প্রথমে লালবাজারে গিয়ে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরে নির্যাতিতার বাড়িতেও যান তাঁরা ৷