রামপুরহাট, 4 অগস্ট: ভুল চিকিৎসার অভিযোগে রণক্ষেত্র রামপুরহাট হাসপাতাল । ভাঙচুরের পাশাপাশি হাসপাতাল চত্বরে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে রোগীর আত্মীয় পরিজনের বিরুদ্ধে । এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে ৷ আটক বেশ কয়েকজন ।
ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে তাণ্ডব আত্মীয়দের ! (নিজস্ব ভিডিয়ো) শনিবার রাতে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগে ধুন্ধুমার বাঁধে । ভাঙচুর করা হয় হাসপাতালের পুরুষ সার্জিক্যাল ওয়ার্ড ৷ চিকিৎসকদেরও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে রোগীর আত্মীয়-পরিজনের বিরুদ্ধে ৷
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রচুর ইনজেনকশন ও ওষুধপত্র নষ্ট হয়েছে । এমনকি কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রামপুরহাট থানার পুলিশ । তখন পুলিশের সঙ্গেও খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় মৃতের আত্মীয়দের । এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে । বেশ কিছুক্ষণের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে রামপুরহাট থানার পুলিশ ।
জানা যায়, মুরারই থানার হাবিশপুর গ্রামের আনসারুল শেখ পথদুর্ঘটনায় আহত হয়ে শনিবার দুপুরে ভর্তি হয়েছিলেন রামপুরহাট হাসপাতালে । অভিযোগ, সঠিক চিকিৎসা হয়নি তাঁর ৷ চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা । রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ মৃত্যু হয় আনসারুলের । তারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের সদস্যরা ৷ ভাঙচুর চালানো হয় হাসপাতালের পুরুষ বিভাগে ।
রোগীর এক আত্মীয় রহেন শেখ বলেন, "অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল আমার এক আত্মীয়ের ৷ হাসপাতালে ভর্তির পর তিন ঘণ্টা ভালো ছিল । একটা ইনজেকশন দেওয়ার পরই মারা গেল । এর জন্য দায়ী হাসপাতালের ডাক্তার ।"
তবে আনসারুলের আত্মীয় পরিজনদের আচরণে ক্ষুব্ধ হাসপাতালে ভর্তি থাকা অন্য রোগীর আত্মীয়রা ৷ সেরকমই একজন আনোয়ার হোসেন ৷ তিনি বলেন, "ওরা দানবের মতো আচরণ করেছে । আমার ভাই দু'দিন আগেই ভর্তি হয়েছে ৷ ওর অপারেশন হয়েছে । ভাঙচুরের সময় আমি না-থাকলে সেও হয়তো আহত হত ।"