সন্দেশখালি, 22 ফেব্রুয়ারি: ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত সাড়ে দশটা ৷ পুলিশকর্মীর বাইকের পিছনে বসে সন্দেশখালির ঘুরে দেখলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ৷ বুধবার রাতে সন্দেশখালির এদিকে-ওদিকে অন্ধকার রাস্তায় বাইকে করে পুলিশের সঙ্গে টহল দিলেন তিনি ৷ সূত্রের খবর, রাত 11টা 20 নাগাদ ফিরে আসেন সন্দেশখালি থানায়। এডিজি সাউথ বেঙ্গল সুপ্রতিম সরকার এবং সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ সুপারকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করেন ।
এরপর রাত সাড়ে বারোটা বাজতেই দলে দলে সন্দেশখালি আসতে শুরু করে ব্যারাকপুর ও বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্মীরা ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে আচমকায় গাড়িতে উঠে মিনাখাঁর দিকে পৌঁছয় পুলিশের একটি বিশেষ দল । এরপরেই রাত দেড়টা নাগাদ আচমকাই সন্দেশখালিতে আসে সিআইডি-র একটি দল । রাত বাড়তেই সেখানে হাজির হয়, রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের গোয়েন্দারাও । আর এইসবই হয়েছে ডিজিপির নির্দেশে ৷ রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বুধবার রাতেই বৈঠক করেন রাজীব কুমার ।
এর আগে বুধবার বেলা 12টা নাগাদ সন্দেশখালিতে পৌঁছে ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ ধরে কথা বলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। পাশাপাশি পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এলাকার আইনশৃঙ্খলার অবস্থা জানতে চান ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিতে গভীর রাতে বিভিন্ন সন্দেহজনক এলাকায় গোপন তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ।
বুধবার রাতে সন্দেশখালিতেই ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজিপির রাজীব কুমার । সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার এবং সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ সুপার । জানা গিয়েছে, সন্দেশখালি ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান এবং তার দলের লোকদের সন্ধান পাওয়ার জন্য সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে ।
আরও পড়ুন :
- সন্দেশখালিতে আচমকা স্টিমারে উঠলেন রাজীব কুমার, নদীতে আলো নিভিয়ে গোপন বৈঠক ডিজি'র
- সন্দেশখালিকাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ মানবাধিকার কমিশনের, বৃহস্পতিবার রাজ্যে প্রতিনিধি দল
- সন্দেশখালিকাণ্ডে নয়া মোড়! শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ শিবুর বিরুদ্ধে যুক্ত হল দ্বিতীয় গণধর্ষণের ধারা