কলকাতা, 22 এপ্রিল: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে আনন্দের হাসি বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের মুখে । কিন্তু মুখে হাসি থাকলেও পাশাপাশি যোগ্যদের চাকরি চলে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায়ও রয়েছেন তাঁরা । চাকরিপ্রার্থী রাসমণি পাত্রের কথায়, "আমাদের দাবি ছিল, যারা দুর্নীতি করে চাকরি করেছে তাদের জায়গায় যোগ্যরা চাকরি পাক । কিন্তু একটা প্যানেল বাতিল হলে অযোগ্যদের সঙ্গে যোগ্যরাও বঞ্চিত হবে । এর মানে আমরা আবারও বঞ্চিত হলাম । 8 বছর ধরে আমরা বঞ্চিত । এতদিন ধরে আমরা আমাদের অধিকারের লড়াই করেছি, বঞ্চনার লড়াই করেছি । দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছি । এই করেই আমাদের জীবনের অর্ধেকটা প্রায় শেষ ।"
দীর্ঘ 1135 ধরে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসে রয়েছেন নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা । তাঁদের দাবিদাবা নিয়ে একাধিকবার তাঁরা বৈঠক করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে । তবে সেখান থেকে কোনো সদুত্তর আসেনি । অবশেষে সোমবার এল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ।
আদালতের রায় প্রসঙ্গে চাকরিপ্রার্থী আবু নাসের বলেন, "অযোগ্যদের পাশাপাশি বেশ কিছু যোগ্যরাও চাকরি করছিলেন । তাদের মধ্যে বহুজনের বাড়ির অবস্থা আমাদেরই মতো । কিন্তু এই যে নির্দেশ এল এর ফলে সকলের চাকরি বাতিল হল । এটা আমরা কখনওই চাই না । আমরা চাই যোগ্য ব্যক্তিরা চাকরি করুক । এই নতুন নির্দেশেও সকলে চাকরি পাবে না ৷ তার কারণ পদের সংখ্যা বাড়াতে হবে ।"
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোমবার বড় ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য । গ্রুপ-সি, ডি, নবম-দ্বাদশের 2016 সালের প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । টেন্ডার ডেকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে এসএসসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এরই সঙ্গে এত বছর বেআইনিভাবে যারা চাকরি করেছেন তাদের ছয় সপ্তাহের মধ্যে সুদ সমেত বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সুদের হার বছরে 12 শতাংশ হবে বলে জানিয়েছে আদালত ৷ এ দিনের রায়ে 25 হাজারের বেশি নিয়োগ বাতিল করেছে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ ৷
আরও পড়ুন:
- 25,753 জনের নিয়োগ বাতিল, এসএসসি মামলার রায়ে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালুর নির্দেশ হাইকোর্টের
- সিবিআই গাজিয়াবাদের গোপন তল্লাশিই ব্রহ্মাস্ত্র হয়ে দাঁড়াল এসএসসি মামলায় হাইকোর্টের রায়দানে
- আজ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায়দান, ভোটের ময়দানে প্রভাব ফেলবে ?