আলিপুরদুয়ার, 25 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদ ৷ রাজ্য সরকারের বঙ্গরত্ন সম্মান ফেরাতে চলেছেন আলিপুরদুয়ারের বিশিষ্ট শিক্ষক ও লেখক পরিমল দে । রবিবার আলিপুরদুয়ারে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি ৷ সেখানেই বঙ্গরত্ন প্রত্যাখ্যানের কথা ঘোষণা করেন পরিমল দে । তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় তিনি অসন্তুষ্ট ৷
আরজি কর-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় অসন্তুষ্ট পরিমল দে (ইটিভি ভারত) এ দিন বিশিষ্ট লেখক বলেন, "আমি ব্যথিত, মর্মাহত, দুঃখিত ও লজ্জিত ৷ বাংলার বর্তমান ঘটনা প্রবাহে আমি বঙ্গরত্ন প্রত্যাখ্যান ও প্রত্যাহার করছি ৷ 'অভয়া'র আত্মা শান্তি লাভ করুক ৷ ওঁর পিতামাতার অন্তরে শান্তি আসুক ৷ আরজি কর-কাণ্ডে অসুস্থতার কারণে নিজে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে পারছি না ৷ তবে মাঠে ও ময়দানে যারা প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের প্রতি সহমর্মিতাবশত ও প্রতিবাদস্বরূপ বঙ্গরত্ন প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ জানাচ্ছি ৷ আমাকে পুরস্কারে 1 লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল ৷ সেটাও ফেরত দিয়ে দেব ৷"
রাজ্যে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট পরিমল দে ৷ তাই বঙ্গরত্ন পুরস্কার ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি । তাঁর কথায়, "রাজ্যজুড়ে আইন শৃঙ্খলার অভাব রয়েছে ৷ পশ্চিমবঙ্গের সমাজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ পচে গলে গিয়েছে ৷ সমাজে নারকীয় হত্যাকাণ্ড-ধর্ষণ যখন তখন হচ্ছে ৷ চিকিৎসকের পর্যন্ত নিরাপত্তা নেই ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজ কল্যাণের অনেক কাজ করেছেন ৷ যা এশিয়া মহাদেশে অনেক রাষ্ট্রনেতাই করতে পারেননি ৷ তাঁর জন্য তিনি খ্যাতি পেয়েছেন ৷ তবে এর পাশাপাশি এটাও বলতে হয়, তাঁর বহু সিদ্ধান্ত বাঙালিরা আত্মঘাতী বলে মনে করছে ৷"
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে লেখক পরিমল দে (নিজস্ব ছবি) 2019 সালে বঙ্গরত্ন সম্মানে ভূষিত হন পরিমল দে ৷ কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে উত্তরবঙ্গ উৎসবের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের হাতে নিজে এই বঙ্গরত্ন পুরস্কার তুলে দেন । তবে সম্প্রতি আরজি কর হাসপাতালে ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য থেকে শুরু করে সমগ্র দেশ । দোষীদের গ্রেফতারি ও শাস্তির দাবিতে দলমত নির্বিশেষে আন্দোলন করছেন সর্বস্তরের নাগরিক । আরজি করের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় অসন্তুষ্ট পরিমল দে । তাই এ দিন পুরস্কারের সঙ্গে পাওয়া এক লক্ষ টাকাও ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি ।
বিশিষ্ট শিক্ষক ও লেখক পরিমল দে (নিজস্ব ছবি)