পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

আর্থিক তছরূপের অভিযোগে সাসপেন্ড কলেজের অধ্যক্ষ

কলেজের অর্থ তছরূপের অভিযোগে অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকারকে সাসপেন্ড করল জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র কমার্স কলেজের পরিচালন সমিতি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

ananda chandra commerce college
সাসপেন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ইটিভি ভারত)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 5 hours ago

জলপাইগুড়ি, 16 নভেম্বর: কলেজ ফান্ডের টাকা অধ্যক্ষের পরিবারের সদস্যের অ্যাকাউন্টে ! সাসপেন্ড অধ্যক্ষ। কলেজের অর্থ তছরূপের অভিযোগে অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকারকে সাসপেন্ড করল আনন্দচন্দ্র কমার্স কলেজের পরিচালন সমিতি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকার।

জলপাইগুড়ি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কলেজ ফান্ডের টাকা পরিবারের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করার অভিযোগ যেমন উঠেছে ৷ তেমনি NSS-এর প্রোগ্রাম না-করেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে ৷ শুধু তাই নয়, কলেজের গ্রিল লাগানোর কথা থাকলেও তা না-লাগিয়ে টাকা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি ৷ কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকার বলেন, "আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন ৷ আমি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।"

জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কমার্স কলেজের পরিচালন সমিতি সভাপতি দেবাশিস দত্ত জানান, কমার্স কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ ছিল ৷ আমি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার আগেই কলেজ তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করেছিল। কমার্স কলেজের করা তদন্ত কমিটি কমিটিতে প্রিন্সিপাল একজন সিএ (CA) এবং একজন লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ছিলেন ৷ টাকা তছরূপের অভিযোগ ছিল ৷ আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই রিপোর্ট জমা পড়ে ৷ রিপোর্টে অধ্যক্ষকে অভিযুক্ত পাওয়া যায় ৷ গর্ভনিং বডিতে রিপোর্ট পাঠানো হয় ৷ আমরা একজন চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে দিয়ে কত টাকার আর্থিক তছরূপ হয়েছে, তা দেখার জন্য আলোচনা করি। এরই মধ্যে কলেজের অধ্যক্ষ হাইকোর্টে যান। উনি স্থগিতাদেশ পান। কিন্তু হাইকোর্ট আমাদের জানায়, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ রয়েছে, তার বিরুদ্ধে পরিচালন সমিতি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। ওনাকে আগে শো-কজ করা হয় ৷ তারপর সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ আমরা ওনারকে সাসপেন্ড করে ডিসিপ্লিনারি প্রসেস চালু করা হয়েছে ৷ তবে কত টাকার তছরূপ হয়েছে, সেটা তদন্ত না-করলে বলা সম্ভব নয় ৷

তিনি আরও জানান, দেখা যায় 2020 থেকে 2022 সাল পর্যন্ত কলেজের টাকা তছরূপ হয়েছে। NSS ফান্ডের টাকার গড়মিল হয়েছে ৷ NSS প্রোগ্রাম না-করেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। কলেজে গ্রিল লাগানোর কথা থাকলেও, তা না-করে ফান্ড তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ কলেজ ফান্ডের টাকা অধ্যক্ষ পরিবারের সদস্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। এই সব অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details