মেদিনীপুর, 9 জানুয়ারি:মেয়াদ উত্তীর্ণস্যালাইন নিয়ে গুরুতর অসুস্থ পাঁচ প্রসূতির মধ্য মৃত্যু হল একজনের ৷ শুক্রবার সকালে ভেন্টিলেশনে চিকিৎসাধীন এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে ৷
গত বুধবার মেদিনীপুর মেডিক্যালের মাতৃমা বিভাগে ভর্তি হয় কেশপুরের অমৃতপুরের প্রসূতি মামনি দাস। গতকাল থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে প্রথমে আইসিইউ পরে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তর করা হয়। শুক্রবার সকালে সেই প্রসূতির মৃত্যু হয় । হাসপাতাল চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। রয়েছেন কোতোয়ালি থানার আইসি-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।
মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়া নিয়ে রোগীর পরিবার ও হাসপাতাল সুপারের বক্তব্য (ইটিভি ভারত) প্রসূতিদের মেয়াদ উত্তীর্ণস্যালাইন দেওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার উত্তেজনা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং মাতৃমাতে । মাতৃমা বিভাগে ভর্তি হওয়া পাঁচ প্রসূতিকে স্যালাইন দেওয়ার পরেই তাঁরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান রোগীর পরিজনদের । রোগীর পরিবারের আরও অভিযোগ, এক্সপায়ার হয়ে যাওয়া স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল প্রসূতিদের । এরপর থেকেই একাধিক সমস্যা দেখা দেয় পাঁচ প্রসূতির । তড়িঘড়ি দু'জনকে সিসিইউ একজনকে আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয় ।
যদিও এই বিষয়ে জানতে ইটিভি ভারতের তরফে ফোন করা হলে মেডিক্যাল কলেজ সুপার জয়ন্ত কুমার রাউত বলেন, "আমরা ঘটনাটা জেনেছি এবং এই ঘটনার জেরে প্রসূতিদের আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে । এরই পাশাপাশি আমরা একটা বোর্ড গঠন করেছি যারা খতিয়ে দেখবে এর কারণ ।" তবে এদিন বকলমে তিনি স্বীকার করে নেন যে স্যালাইনে কিছু একটা সমস্যা ছিল । যদিও এই ঘটনায় উত্তেজনা রয়েছে বলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মোতায়েন করা হয় পুলিশ । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে গোটা বিষয় নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান রোগীর আত্মীয়রা ।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর মাসে কর্ণাটকে চার প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে । অভিযোগ ওঠে, ত্রুটিপূর্ণ আরএল বা রিঙ্গার লেক্টেড স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল প্রসূতিদের শরীরে । এরপরও রাজ্যের একাধিক জায়গায় আরএল স্যালাইন নিয়ে নানা অভিযোগ সামনে আসে । এবার ফের অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে সেই রিঙ্গার লেক্টেড স্যালাইন ।