বসিরহাট, 16 জুন: বসিরহাট গুলি চালানো কাণ্ডে পুলিশের জালে দুই অভিযুক্ত। ধৃতদের নাম জিয়ারুল গাজি এবং তোয়েব আলি মণ্ডল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার ভোররাতে বসিরহাটের পিফা অঞ্চল থেকে প্রথমে জিয়ারুলকে পাকড়াও করে পুলিশ। এরপর তাঁকে জেরা করে পুলিশ অপর অভিযুক্ত তোয়েবের হদিস পায় বলে খবর ৷
উত্তর 24 পরগনার বসিরহাট শুট আউট কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও অধরা মূল অভিযুক্ত আয়ুব গাজি ৷ তাঁর খোঁজে পুলিশ বসিরহাটের সীমান্তবর্তী এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে বলে খবর ৷ ধৃত দুই অভিযুক্তকে এদিন বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷
শুক্রবার রাতে বসিরহাটের পিফা বাজারে তৃণমূল কর্মী আলতাফ মালিককে আচমকাই গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার সময় রাস্তার উলটো দিকে একটি জেরক্সের দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। সেই সময়ই শুট আউটের ঘটনা ঘটে। বাইক থেকে নেমে পায়ে হেঁটে এক দুষ্কৃতী খুব কাছ থেকে ওই তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। গুলির শব্দ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। দুষ্কৃতীদের ধরতে কয়েকজন তাড়াও করেন। সে সময়ই হামলাকারীরা সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগভর্তি বোমা স্থানীয় এক দোকানে ফেলে রেখে পালায়। পরে অবশ্য পুলিশ এসে বোমা ভর্তি ব্যাগটি উদ্ধার করেছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পিফা অঞ্চল। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। এমনকী, শঙ্করপুর এলাকায় একটি দোকানে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, শুট আউটের সিসিটিভি ফুটেজে হামলাকারী দুষ্কৃতী আয়ুব গাজির যোগ স্পষ্ট ধরা পড়েছে বলেই পুলিশ সূত্রে দাবি। সিসিটিভিতেই দেখা যাচ্ছে অভিযুক্ত দুষ্কৃতী নিজেই গুলি চালিয়ে রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনার পর তার বিরুদ্ধেই বসিরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর বাবা।
অন্যদিকে, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী আলতাফ মালির ইতিমধ্যে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে আরজি কর হাসপাতালে। অস্ত্রোপচার করে তাঁর পিঠে বিঁধে থাকা গুলিও বার করতে সক্ষম হয়েছেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত আলতাফ বিপদমুক্ত। তিনি আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ। দ্রুত তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে হাসপাতাল থেকে।