ময়নাগুড়ি, 27 জুলাই:কংগ্রেস কর্মী মানিক রায়ের খুনের ঘটনায় আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হল ৷ জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ও ধুপগুড়ি থেকে অমর দাস, মাধব রায় ও সবিতা রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি দুষ্কৃতী-তাণ্ডবে ভেঙে যাওয়া বাড়িটি নতুন করে তৈরির ব্যবস্থাও করল পুলিশ ৷ পুলিশের এই মানবিক আচরণ স্বভাবইত প্রশংসা কুড়িয়েছে ৷
ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল চন্দ্র ঘোষ বলেন, "বাড়িটি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল ৷ সেখানে থাকার মতো কোনও পরিস্থিতি ছিল না ৷ তাই একটু ছাদের ব্যবস্থা করে দেওয়া হল ৷ এছাড়া স্বপ্না রায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ৷"
ঘটনার সূত্রপাত বহু দিন আগে। অভিযোগ, ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ির হঠাৎ কলোনির বাসিন্দা মানিক রায়ের সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় কয়েকজনের গোলমাল চলছিল । পারিবারিক বিবাদকে নিয়ে মামলাও দায়ের হয়েছিল। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পালটা অভিযোগও সমানে চলছিল ৷ তার অভিঘাত এতটাই যে কয়েক বছর আগে মানিকের বাড়িতে প্রতিবেশীরা চড়াও হয়ে তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে পরিবারকে ভিটেমাটি ছাড়া করে দেয় ।
মানিকের পরিবার শিলিগুড়িতে ভাড়া বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করে ৷ এরপর দীর্ঘ কয়েক বছর পর ফের মানিক পরিবার নিয়ে গত 21 জুলাই ময়নাগুড়ির বসত ভিটেতে ফিরে আসেন ৷ তারপর আবারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷
এরপর প্রাণ সংশয় আছে বলে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা মানিক। ময়নাগুড়ির বিডিওকে লিখিত অভিযোগও করেছিলেন তিনি ৷ কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না । 24 তারিখ রাতে মানিককে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে পেটানো হয় বলে অভিযোগ । খবর পেয়ে পুলিশ মানিককে উদ্ধারকে করে হাসপাতালে পাঠায় ৷ সেখানে মৃত্যু হয় মানিক রায়ের ৷ এরপর পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে ৷ এবার আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হল ৷