ভাতার, 10 অগস্ট: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা ডাক্তারকে খুনের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে ৷ সেই একই হুমকি দিয়ে গ্রেফতার আরও এক সিভিক ভলান্টিয়ার ৷ পূর্ব বর্ধমানের ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ঘটনা । অভিযোগ ভাতার থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার ওই হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দেন আরজি করের মতো ঘটনা তাঁর সঙ্গে ঘটাবেন বলে । প্রতিবাদে আজ শনিবার ভাতার থানায় ডেপুটেশন দেন হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকরা ।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাত দু'টো নাগাদ। সিভিক পুলিশ সুশান্ত রায় মদ্যপ অবস্থায় এক রোগীকে নিয়ে আসেন চিকিৎসার জন্য । তখন এক মহিলা চিকিৎসক সেই রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে যান । কিন্তু হঠাৎ ওই সিভিক চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন । কর্তব্যরত চিকিৎসককে হুমকি দিয়ে বলতে থাকেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটেছে তাঁর সঙ্গেও সেই ধরনের কিছু করা হবে । যা শুনে ওই মহিলা চিকিৎসক ভয় পেয়ে যান । তিনি অন্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের ডেকে ঘটনার কথা জানান । এরপর থানায় ফোন করেন । পুলিশ তাঁকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলে ।
আরজি করের মতো হাল করব, মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দিয়ে গ্রেফতার সিভিক ভলান্টিয়ার - Police Arrests Civic Volunteer
Police Arrests Civic Volunteer: আরজিকরের প্রসঙ্গ টেন মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে শ্রীঘরে সিভিক ভলান্টিয়ার ৷ শুক্রবার রাতে কী হয়েছিল ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ?
Published : Aug 10, 2024, 8:46 PM IST
শনিবার এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ভাতার থানায় গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেন । অবিলম্বে ওই সিভিককে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয় । এই বিষয়ে বিপ্লব মালিক নামে এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, "শনিবার গভীর রাতে সিভিক ভলান্টিয়ার সুশান্ত রায় মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দিয়ে বলেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কী ঘটেছে জানেন তো ? সে রকম আপনার সঙ্গেও করা হবে । সেই বিষয়ে থানায় জানানো হলে পুলিশ অভিযোগ জানাতে বলে । হাসপাতাল থেকে ভাতার থানার দূরত্ব মাত্র 2 কিলোমিটার । কিন্তু পুলিশের একবারও মনে হয়নি হাসপাতালে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা দরকার । এটা আমাদের খুব খারাপ লেগেছে । এর আগেও ওই সিভিক এক মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দিয়েছিল । পুলিশ কিন্তু কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি ।" ভাতার হাসপাতালের নার্স সায়ন্তিকা দে-র কথায়, "আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছি । আমরাও নিরাপদ নই । আমাদের নিরাপত্তা নেই । পুলিশ জানিয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।"