জলপাইগুড়ি, 18 ডিসেম্বর: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ৷ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেন জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের পকসো কোর্টের বিচারক । সাজা ঘোষণার পরই আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন আসামী ।
2011 সালে ধূপগুড়ি থানার ওই ধর্ষণের মামলা নথিভুক্ত হয় ৷ 10 বছর পর আসামীকে বুধবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের পকসো কোর্ট । নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি 50 হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক । অনাদায়ে দুইমাসের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন । একই সঙ্গে নির্যাতিতাকে 4 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷
এ দিন জলপাইগুড়ি আদালতের সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত বলেন, "2011 সালের 29 নভেম্বর তারিখে ঘটনাটি ঘটে । নাবালিকার মা-বাবা মাঠে কাজ করতে গিয়েছিল ৷ সেসময় সকাল বেলায় নাবালিকা বাড়িতে একাই ছিল । নাবালিকার বাড়িতে শেওয়াই চাইতে যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি । তখন সে দেখে নাবালিকার বাড়িতে কেউ নেই । সেই সুযোগে ঘরের ভিতর টেনে নিয়ে যায় নাবালিকাকে ৷ বাড়িতেই নাবালিকার মুখ বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে ।"
তিনি আরও বলেন, "মেয়েটির চিৎকার শুনে এক প্রতিবেশী হাতেনাতে ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন ৷ এরপর নাবালিকার বাবা-মাকে খবর দেওয়া হয় ৷ তাঁরা মাঠ থেকে ফিরে এসে নাবালিকার কাছ থেকে সব কথা শোনে ৷ ওইদিনই ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ সেই মামলায় পকসো 6 ধারায় চার্জ গঠন করা হয় । 11 জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় । আজ বিচারক অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণ করে সাজা ঘোষণা করেন ।"